বাংলাদেশের খেলা হতো মেলবোর্নেই
বিশ্বকাপের ফিক্সচার যারা দেখেছেন, কোয়ার্টার ফাইনালের ভেন্যু নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন। ফিক্সচার অনুযায়ী পুল এ-এর চতুর্থ দলের খেলার কথা ওয়েলিংটনে, সেই হিসেবে বাংলাদেশের তো সেখানেই খেলা উচিৎ। কিন্তু বাংলাদেশ-ভারতের খেলা মেলবোর্নে কেন? এখানে আসলে কোনো বিভ্রান্তি নেই, টুর্নামেন্ট শুরুর মাসদুয়েক আগেই ব্যাপারটা পরিষ্কার করে দিয়েছিলো আইসিসি।
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ঠিক ছিলো নিউজিল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইন্যালে উঠলে তাদের ম্যাচ ওয়েলিংটনেই হবে; গ্রুপে তাদের অবস্থান যা-ই হোক না কেন! একইভাবে অস্ট্রেলিয়ার শেষ আটের ম্যাচ হবে অ্যাডিলেডে; স্বাগতিক দুই দেশকে এই সুবিধেটুকু দেয়া হয়েছিলো। সেই সঙ্গে তৎকালীন আইসিসি র্যাংকিং অনুযায়ী সম্ভাব্য কোয়ার্টার ফাইন্যালিস্ট হিসেবে এ-গ্রুপের বাকি দুই দল শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ড ধরে তাদের ভেন্যুও ঠিক করে দেয়া হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা খেলবে ১৮ মার্চ সিডনিতে, আর ইংল্যান্ড ১৯ মার্চ মেলবোর্নে। এই দুই দল শেষ আটে না গেলে এই দুই দলের পরিবর্তে যে দল আসবে, তারা খেলবে ওই দলের ভেন্যুতে। ইংল্যান্ডের জায়গায় বাংলাদেশ ওঠায় ম্যাচটা তাই মেলবোর্নেই হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ ভারত না হয়ে অন্য কেউ হলেও বাংলাদেশের খেলাটা মেলবোর্নেই থাকত। যেমন শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, ম্যাচটা সিডনিতেই হতো।
একইভাবে, নিউজিল্যান্ড সেমিফাইন্যালে উঠলে ভেন্যু থাকবে অকল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া সেমিতে উঠলে ভেন্যু থাকবে সিডনি; এসব ব্যাপারও বিশ্বকাপের আগে থেকেই ঠিক করা। আরো একটা ব্যাপার ঠিক করা ছিলো, যদি স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইন্যালে পরস্পরের মুখোমুখি হয়, তাহলে এই দুই দলের মধ্যে যে দল গ্রুপ পর্বে এগিয়ে থাকবে, খেলা তাদের দেশেই হবে। এখন অবশ্য এই সম্ভাবনা নেই।
আর, ভেন্যুর এই ব্যাপারটা নতুন কিছু নয়; একইভাবেই ভেন্যু ঠিক করা হয়েছিলো ২০১১ সালের বিশ্বকাপেও। একটা কোয়ার্টার ফাইন্যাল ঢাকায় রাখা হয়েছিলো যেন বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইন্যালে উঠলে খেলতে পারে এখানেই, গ্রুপে তাদের অবস্থান যা-ই হোক না কেন। সেমিফাইন্যালেও শ্রীলংকা-ভারতে ভেন্যু রাখা হয়েছিলো এই হিসেব করে, যেন স্বাগতিক দেশগুলো নিজেদের দেশে খেলার সুবিধাটুকু নিতে পারে।