ভাগ্য নিজেদের হাতে রইল না লিভারপুলের
ম্যাচ শেষ হতেই ফ্যাকাশে একটা হাসি হাসলেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। হতাশা, অসহায়ত্ব সেখানে মিলেমিশে একাকার। শীর্ষ চারে থাকার জন্য নিজেদের মাঠে জয়টা খুব খুব করেই দরকার ছিল। কিন্তু সাউদাম্পটনের সঙ্গে নিজেদের মাঠে লিভারপুল করল গোলশূন্য ড্র। চ্যাম্পিয়নস লিগে থাকাটা এখন আর নিজেদের হাতে রইল না লিভারপুলের।
জেমস মিলনার অবশ্য নিজের কাঁধে দোষ নিতে পারেন। ৬৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লিভারপুলকে এগিয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন। ২০০৯ সালের পর লিগে কখনো পেনাল্টি মিস করেননি, এই মৌসুমে কাজে লাগয়েছেন সাতটি সুযোগই। মিলনারের কিক নেওয়ার আগে ক্লপ কি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন?
কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই স্বস্তি উবে গেছে। ডান দিকে লাফিয়ে এক হাতে সেই পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়েছেন সাউদাম্পটন গোলরক্ষক ফেজার ফরস্টার। লিভারপুলকে বলতে গেলে ঠেকিয়ে দিয়েছেন আগেই। শেষ মুহূর্তেও প্রায় গোলে ঢুকে যাওয়ার মুখে একটা হেড ঠেকিয়েছেন দারুণ দক্ষতায়। এই মৌসুমে চার ম্যাচে সাউদাম্পটনের সঙ্গে একটি গোলও করতে পারেনি লিভারপুল, তাতে তো তাঁরই বড় অবদান।
তবে ক্লপ একটু আফসোসও করতে পারেন। প্রথমার্ধে সুযোগ পেয়েও যখন কাজে লাগাতে পারেনি, বদলি হিসেবে লালানা-স্টারিজদের আগেই নামাতে পারতেন। কিন্তু সেটা করতে সময় নিলেন ৬৯ মিনিট। স্টারিজ একটা ভালো সুযোগও পেয়েছিলেন, কিন্তু ঠেকিয়ে দিয়েছেন ফরস্টার।
এই ড্রতে ৩৬ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট এখন ৭০। ৩৫ ম্যাচে ম্যান সিটির পয়েন্ট ৬৯, ৩৪ ম্যাচে ম্যান ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৬৫। দুই ম্যানচেস্টার নিজেদের বাকি ম্যাচগুলো জিতলেই লিভারপুলের শীর্ষ চারের আশা মুখ থুবড়ে পড়বে।