আর্সেনালে ভঙ্গ ইউনাইটেডের অপরাজেয়-যাত্রা
সাত মাস, ২৫ ম্যাচ। ইংলিশ লিগে পরাজয় কাকে বলে, ভুলে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। টানা ড্র করতে থাকা ইউনাইটেডকে সেই স্বাদ আবারও মনে করিয়ে দিল আর্সেনাল। তার চেয়েও বড় কথা, ২-০ গোলের জয়ে অবশেষে হোসে মরিনহোকে লিগে হারাতে পারলেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। শীর্ষ চারের আশা এখনো টিকে থাকল আর্সেনালের, ইউনাইটেডের জন্য ইউরোপা লিগই এখন বলতে গেলে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার আশা।
ম্যাচের প্রথম একাদশেই মরিনহো বার্তা দিয়েছিলেন, এই ম্যাচের চেয়ে তাঁর মনযোগ এখন ইউরোপাতেই। পগবা, রাশফোর্ড, লিনগার্ড, ভ্যালেন্সিয়া,বাইসহ নিয়মিত একাদশের অনেককেই বসিয়ে রেখেছিলেন। শুরতে বল দখল ইউনাইটেডের বেশি থাকলেও আক্রমণ ছিল আর্সেনালেরই বেশি। ডেভিড ডি গিয়া দুর্দান্ত একটা সেভ না করলে প্রথমার্ধে আর্সেনাল এগিয়ে যেতেই পারত। তবে সুযোগ এসেছিল ইউনাইটেডের, মার্শিয়ালের শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন চেক, একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ওয়েইন রুনি।
তবে ইউনাইটেড আক্রমণের চেয়ে রক্ষণেই ছিল বেশি মনযোগী। দ্বিতীয়ার্ধে আর্সেনাল তাই এগিয়ে যায়। সেটা অবশ্য একটু ভাগ্যক্রমেই এসে গেছে, ৫৪ মিনিটে গ্রানিত শাকার দূর থেকে নেওয়া শট অ্যান্ডার হেরেরার গায়ে লেগে একটু দিকভ্রষ্ট হয়ে ঢুকে গেছে জালে। চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারলেন না ডি গিয়া।
তবে পরের গোলে সেই চেষ্টাও করতে পারেননি। ডান দিক থেকে চেম্বারলেইনের ক্রস দারুণ এক হেডে জালে ঢুকিয়ে দিয়েছেন ড্যানি ওয়েলবেক। কয়েক মিনিটের মধ্যে দুই গোল খেয়ে ইউনাইটেড তখন কোণঠাসা। মরিনহো অবশ্য এরপর রাশফোর্ড, লিনগার্ডদের নামিয়েছিলেন। কিন্তু ইউনাইটেড সেভাবে আর কোনো গোলের সুযোগই পায়নি। শেষ পর্যন্ত আর্সেনাল পেয়েছে সহজ জয়।
এই জয়ে ৩৪ ম্যাচ শেষে আর্সেনালের পয়েন্ট ৬৩, তারা আছে ছয়ে। এক ম্যাচ বেশি খেলে ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৬৫, তারা আছে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে। ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে চারে সিটি, ৭০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে লিভারপুল।