• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    নক-আউট জুজু জয় করে শেষ চারে দক্ষিণ আফ্রিকা

    নক-আউট জুজু জয় করে শেষ চারে দক্ষিণ আফ্রিকা    

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ শ্রীলংকা ১৩৩/১০, ৩৭.২ ওভার (সাঙ্গাকারা ৪৫, থিরামানে ৪১; ইমরান তাহির ৪/২৬, ডুমিনি ৩/২৯); দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩৪/১, ১৮ ওভার (ডি কক ৭৮*, ডু প্লেসি ২১*; মালিঙ্গা ১/৪৩)

     

    ফলঃ দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী

     

    প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচঃ ইমরান তাহির (দক্ষিণ আফ্রিকা)


     

    কখনও ভাগ্য, কখনও বৃষ্টি, কখনও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দলটার খেই হারিয়ে ফেলা...বিগত ছয়টি বিশ্বকাপে নক-আউট পর্ব মানেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হয়ে উঠেছিল এক বিভীষিকার নাম। এবার অনেকটা বলেকয়েই ইতিহাস নতুন করে লেখার পণ করেছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। এতোটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে আর কোন অধিনায়ক বোধহয় কথা বলছেন না। কোয়ার্টার ফাইনাল পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বেশ দৃঢ় কণ্ঠেই বলছিলেন, আজকের ম্যাচে তাঁরা ‘চোক’ করবেন না... ‘চোক’ করতে তাঁরা এ টুর্নামেন্টে আসেন নি। তবে মুখে বলাটা যত সহজ মাঠের লড়াইয়ে জিতে আসাটা ততোটা সহজ হবে না এমনটাই হয়তো ধারণা ছিল সবার। তেমন ধারণায় জল ঢেলে দিয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৯ উইকেটের অনায়াস জয় নিয়ে চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেদের সপ্তম বিশ্বকাপে এসে প্রথমবারের মতো নক-আউট লড়াই জয়ের স্বাদও নিলো প্রোটিয়া শিবির।

     

    টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই দু’ ওপেনারকে হারায় শ্রীলংকা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে লাহিরু থিরামানে ও কুমার সাঙ্গাকারা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও খুব বেশীক্ষণ টিকে থাকতে পারেন নি। থিরামানে ৪১ ও সাঙ্গাকারা ৪৫ রানে ফিরে যাওয়ার পর বাকি ব্যাটসম্যানদেড় আসা-যাওয়ার মিছিলে রানের চাকা ঘুরেছে কদাচিৎই। এ দু’জনের বাইরে রানের খাতায় দুই অংকে পৌঁছতে পেরেছিলেন কেবল ম্যাথিউস (১৯)। আর হ্যাঁ, অতিরিক্ত রান বাবদ আসে চতুর্থ সর্বোচ্চ ১৫ রান।

     

     

    বল হাতে স্টেইন-অ্যাবটদের এনে দেয়া দুরন্ত সূচনার উপর দিয়ে লঙ্কান ইনিংসের কফিনে নিয়মিত বিরতিতে পেরেক ঠুকে যান ইমরান তাহির। ৮.২ ওভার বল করে মাত্র ২৬ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। সাথে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে জেপি ডুমিনির হ্যাট্রিক শ্রীলংকার রানের চাকা থামিয়ে দেয় মাত্র ১৩৩ রানে।

     

     

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪০ রানের মাথায় হাশিম আমলাকে (১৬) হারালেও মামুলি লক্ষ্যটা দক্ষিণ আফ্রিকা পেরিয়ে যায় আর কোন উইকেট না হারিয়েই। গ্রু পর্বের ছয় ম্যাচ থেকে মাত্র ৫২ রান সংগ্রহ করা ওপেনার কুইন্টন ডি কক আজ ৫৭ বল মোকাবেলায় অপরাজিত থাকেন ৭৮ রান করে।

     

    দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস রচনার দিনে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হারালো আক্ষরিক অর্থেই দুটো নক্ষত্র। রঙিন পোশাকে আজই নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন লঙ্কান কিংবদন্তী কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে একটা বিশ্বকাপ শিরোপার অতৃপ্তি নিয়েই তাঁরা খুলে রাখবেন শ্রীলংকার নীল জার্সি।

     

     

    অকল্যান্ডে ২৪ মার্চের সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা মোকাবেলা করবে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনালের বিজয়ী দলের।