আর্সেনালকে সরিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলই
চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা হয়েছে টানা ১৯ মৌসুম। কখনো জেতা হয়নি বটে, তবে ইউরোপের সবচেয়ে কুলীন আসরে আর্সেনালের খেলাটা অলিখিত একটা নিয়মই হয়ে গিয়েছিল। সেই ধারা এবার ভেঙে যাচ্ছে, প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ চারে জায়গা করে নিতে পারেনি আর্সেনাল। ইউরোপা লিগই হচ্ছে তাদের ঠিকানা, আর লিভারপুল আবার ফিরছে চ্যাম্পিয়নস লিগে।
প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার লড়াই নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছিল আগেই। চেলসি এক আর টটেনহাম দুই হচ্ছে, সেটাও জানা হয়ে গিয়েছিল। অবনমনের তিন দলও আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। একটাই জল্পনা কল্পনা, তিন ও চার কারা হচ্ছে। ম্যানচেস্টার সিটির তিন হওয়াটা অনেকটাই নিশ্চিত ছিল, আজ ওয়াটফোর্ডকে ৫-০ গোলে হারিয়ে সেটা পুরোপুরি নিশ্চিত করেছে।
তবে চার নম্বর জায়গাটা নিয়েই চলছিল লড়াই। নিজেদের মাঠে মিডলসবরোকে হারাতেই হতো লিভারপুলকে। নতুবা প্রার্থনা করতে হতো আর্সেনাল যেন এভারটনের সাথে জিততে না পারে। ভাগ্যটা অন্যদের ওপর নির্ভর করতে দেয়নি লিভারপুল, মিডসলবরোকে ৩-০ গোলে হারিয়েই চারে থেকেছে। এই মৌসুমে পয়েন্ট তালিকার নিচের সারির ক্লাবের কাছে পয়েন্ট হারানোটা একরকম অভ্যাসই হয়ে গেছে তাদের। আজও শুরুতেই একটা হোঁচট খেতে পারত, ২২ মিনিটে নিজেদের বক্সে ফাউল করেও বেঁচে যান দেয়ান লভরেন। ওটা পেনাল্টি হতে পারত, এমনকি লভরেন লাল কার্ডও দেখতে পারতেন। কিন্তু কোনটাই হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৪৫ মিনিটে জিওর্জিও ভিন্ডালামের দারুণ এক গোলে এগিয়ে যায় অলরেডরা।
বিরতির পর বাকি কাজটুকুও নিশ্চিত করে ফেলেছে। ৫১ মিনিটে ফিলিপ কুতিনহোর ফ্রিকিক থেকে ব্যবধান বাড়িয়েছে। পাঁচ মিনিট পর অ্যাডাম লালানার গোলে নিশ্চিত হয়েছে জয়। আর্সেনাল দশজন নিয়েও এভারটনকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে, সেটা সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছু হতে পারেনি। শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলা চেলসি জন টেরির শেষ ম্যাচে সান্ডারল্যান্ডকে হারিয়েছে ৫-১ গোলে। টটেনহাম হাল সিটিকে উড়িয়ে দিয়েছে ৭-১ গোলে, হ্যাটট্রিক করেছেন হ্যারি কেন। আর ক্রিস্টাল প্যালেসকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।