শেষ মুহূর্তের গোলে ইংল্যান্ডের রক্ষা
যোগ করা সময়ের বাকি আর এক মিনিট। ১৯৯৯ সালের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয়ের প্রহর গুনছে স্কটিশ সমর্থকরা। ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা স্কটল্যান্ডের কোচ গর্ডন স্ট্র্যাচান বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছেন। কখন বাজবে শেষ বাঁশি? বাঁশি বাজলো, কিন্তু ম্যাচ শেষের নয়, গোলের! ৯৩ মিনিটে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেনের গোলে নিশ্চিত পরাজয় থেকে বেঁচে গেলো ইংলিশরা।
প্রথমার্ধে দুই দলই গোল মিসের মহড়া দেয়। ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত স্কটল্যান্ড। ৬ মিনিটের মাথায় লেই গ্রিফিথের শট বাচিয়ে দেন ইংলিশ গোলকিপার জো হার্ট। ১৮ মিনিটে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন হ্যারি কেন। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে অ্যাডাম লালনার শট ঠেকিয়ে দেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন ।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় দুই দলই। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটাই আসছিল না। অবশেষে ৭০ মিনিটে অ্যালেক্স চেম্বারলাইনের বা পায়ের জোরালো শটে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। সমতা আনার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে স্কটল্যান্ড। ৮৭ মিনিটে অসাধারণ এক ফ্রি কিকে সমতা আনেন গ্রিফিথস। ঠিক ৩ মিনিট পর আবারো দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে বল জালে জড়িয়ে স্কটিশ ভক্তদের আনন্দে ভাসান সেই গ্রিফিথসই। নাটকীয় এক জয়ের অপেক্ষায় তখন পুরো হ্যাম্পডেন পার্ক।
কিন্তু নাটকের যে তখনো বাকি। স্টারলিংয়ের বুদ্ধিদীপ্ত এক পাসে গোল করে পুরো স্টেডিয়ামে শ্মশানের নীরবতা এনে দেন কেন। ইংলিশ ডাগআউটে তখন স্বস্তির সুবাতাস বইছে। এই ড্রয়ে ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষে রইল ইংল্যান্ড।
এদিকে স্যান্দ্রো ওয়াগনারের হ্যাটট্রিকে স্যান ম্যারিনোকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে জার্মানি। গোল পেয়েছেন ড্রাক্সলার, ইউনেস, মুস্তাফি ও ব্রাডও। এই জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ 'সি' এর শীর্ষে রইল জার্মানরা। অন্যদিকে নিজ নিজ ম্যাচে জয় পেয়েছে নর্দান আইল্যান্ড, ডেনমার্ক, স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, মন্টেনিগরো ও স্লোভেনিয়া। নরওয়ের সাথে ড্র করেছে চেক রিপাবলিক।