অসহায় আত্মসমর্পণ ভারতের
উইকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনির উপস্থিতি বা ৪২তম ওভারে ওয়াটসনকে মারা পরপর দুটো বিশাল ছয়ের মার দেখে ভারতের জয়ের সম্ভাবনা যারা দেখতে পাচ্ছিলেন, তাদেরকে দ্রুতই নিরাশ হতে হয়েছে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারেনি ভারতীয় দল। বোলিং ও ব্যাটিং- দুটোতেই শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দিয়ে ৯৫ রানের ব্যবধানে ভারতকে উড়িয়ে দিয়েছে মাইকেল ক্লার্কের দল।
ম্যাচের তিন চতুর্থাংশ শেষ হবার পূর্বেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছে ভারত। রাহানে-জাদেজাদের নিয়ে এরপর ধোনি যেটা করলেন, সেটাকে আর যাই হোক, লড়াই বলা যায় না। একটা পর্যায়ে এমনও মনে হচ্ছিলো, ম্যাচ জেতার ব্যাপারে তেমন কোন প্রয়াস ভারতীয়দের মধ্যে আদৌ আছে কিনা। অথচ শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা। রানের ঘর ৭০-এর কোটায় পৌঁছে গিয়েছিল ১৩তম ওভারেই, তাও কোন উইকেট না হারিয়ে। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ধাওয়ানকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রুটা এনে দেন জশ হ্যাজেলউড। এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে কোহলি ও শর্মাকে ফিরিয়ে ভারতের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের কাজটা করেন অভিজ্ঞ মিচেল জনসন। ব্যস, বাধ পড়ে গেল তাদের রানের প্রবাহে। কিছুক্ষণ পর সুরেশ রাইনাও ফিরে গেলে জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় ভারতের। শেষদিকে ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপের লেজটা ছেঁটে দেওয়ার দায়িত্ব নেন জেমস ফকনার।
প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৩২৮ করে ফেলার পরই ম্যাচের ফল মোটামুটি আন্দাজ করে ফেলেছিলেন অনেকে। একে তো এটা যেকোনো বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের প্রথম তিনশোর্ধ স্কোর, তার উপর যোগ হয়েছিল ভারতের ‘সিডনি বিভীষিকার ’ ব্যাপারটা। ৩২৮ রানের পাহাড়টা গড়ার পেছনে সিংহভাগ অবদান অ্যারন ফিঞ্চ-স্টিভেন স্মিথ জুটির। দ্বিতীয় উইকেটে এঁদের ১৮২ রানের পার্টনারশিপটাই মূলত ঠিক করে দিয়েছে ইনিংসের গতিপথ। ঐ সময়টায় অবশ্য মনে হচ্ছিলো চারশোর দিকে এগুচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস, স্মিথ আউট হওয়ার পর রানের প্রবাহে কিছুটা হলেও বাধা সৃষ্টি করেছিল ভারতীয় বোলাররা। তবে শেষদিকে জনসনের তোলা ছোট্ট ঝড়ে সোয়া তিনশো ছাড়ায় অজিরা। ৯৩ বলে ১০৫ রানের ইনিংসের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরষ্কারটা যায় স্মিথের কাছেই। ছবি-সৌজন্যঃগেটিইমেজেস