কাতার বিশ্বকাপ বয়কট করতে চায় সৌদি আরব
কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এবার ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে কাতারকে বাদ দেওয়ার জন্য ফিফার কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি আরব সহ বাকি পাঁচ দেশ। সুইস ওয়েবসাইট দ্য লোকালের বরাত দিয়ে এমন খবর ছাপা হয়েছে প্রায় সব গণমাধ্যমেই।
ফিফার অনুচ্ছেদ ৮৫ অনুযায়ী জরুরী অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বকাপ আয়োজক দেশের নাম বদলে ফেলার সুযোগ রয়েছে। সেই ধারা অনুসরণ করেই ফিফার কাছে চিঠি প্রেরণ করেছে সৌদি আরব, মিশর, আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মৌরিতানিয়া।
গত মাসে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হিসেবে কাতারকে 'জঙ্গিদের দুর্গ' বলে অভিহিত করেছিল ওই ছয় দেশ। যদিও এমন বক্তব্য বরাবরই অস্বীকার করে আসছে কাতার।
পাঠানো চিঠির কোন কপি সংবাদমাধ্যমের হাতে না এলেও এই বিষয়ে কথা বলেছেন ফিফার মুখপাত্র। তিনি অবশ্য এমন কোনো চিঠি হাতে পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তাই এই নিয়ে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নিনো ইনফান্তিনোও কোন মন্তব্য করতে রাজি নয় বলেই জানিয়েছেন। তবে চিঠির ব্যাপারে না বোধক জবাব দিলেও মুখপাত্রকে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য আরও একবার ফিফার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হয়েছে।
"ফিফা প্রেসিডেন্ট এমন কোনো চিঠি হাতে পাননি। সে কারণেই তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। আমরা আরও একবার স্পষ্ট করে বলতে চাই, কাতারের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ চলছে। এবং বিশ্বকাপ আয়োজনের সব প্রস্তুতিই নেয়া হচ্ছে"।
বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ হিসেবে কাতারের নাম ঘোষণা নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছিল। এরপর সেই বিতর্ক গড়িয়েছে বহুদূর। এর জের ধরে পুরো ফিফাকেও ঢেলে নতুন করে সাজাতে হয়েছে। তবে এখন পর্যন্তও ২০২২ বিশ্বকাপ হওয়ার কথা রয়েছে কাতারেই। মরুর দেশের উষ্ণ আবহাওয়া থেকে বাঁচতে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে কাতারে বসার কথা ফুটবলের সবচেয়ে বড় আয়োজন।