নেইমারের দাম নিয়ে কোচদের ভিন্নমত
নেইমারের জন্য পিএসজির প্রস্তাবিত ২২২ মিলিয়ন ইউরোকে 'বেশি দাম' না বললেও এই চুক্তির পরিণতি পরে ফুটবলের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন হোসে মরিনহো। দলবদলের নতুন ইতিহাস গড়ার সম্ভাবনা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজারকে অবাক না করলেও ইয়ুর্গেন ক্লপ ও আর্সেন ওয়েঙ্গারের এর বিরোধীতাই করেছেন।
মরিনহো অবশ্য স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন। নেইমারের মাপের খেলোয়াড় ও তাঁর ব্যবসায়িক দিকের কথা মাথায় রেখেই ২২২ মিলিয়ন দামটা বেশি বলতে নারাজ ইউনাইটেড ম্যানেজার। "মানহীন খেলোয়াড় চড়া দাম দিয়ে কিনলে সেটাকে ব্যয়বহুল বলা যায়। কিন্তু ২২২ মিলিয়ন নেইমারের জন্য বেশি নয়"।
"এই দামটা ব্যয়বহুল বলা যায় বলা যায় অন্য অর্থে। এখন হয়ত আপনি আগের চেয়ে বেশি ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড দামের খেলোয়াড় দেখবেন। অনেক বেশি ৮০ মিলিয়নের খেলোয়াড়ও পাওয়া যাবে। ৬০ মিলিয়ন পাউন্ডও অনেকের দাম হবে। আমার মনে হয় এটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।"
"নেইমার বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। বানিজ্যিকভাবেও সে শক্তিশালী। পিএসজি নিশ্চয়ই এটা বিবেচনা করেছে। তাই আমার মনে হয় নেইমারের দামটা কোন সমস্যা না। এই চুক্তির পরিণতিটাই সমস্যা।" - জানিয়েছেন মরিনহো।
নেইমারের দলবদলের টাকা অঙ্কের ব্যাপারে মন্তব্য না করলেও চুক্তির পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রিমিয়ার লিগের আগের ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ। লিভারপুল ম্যানেজার বলছেন ফেয়ার প্লে আইনের সঠিক প্রয়োগ থাকলে এমন চুক্তি হতে পারত না। "আমি তো জানতাম ফেয়ার প্লে নিয়মের সংযোজনই হয়েছিল এ ধরনের চুক্তিতে বাধা দিতে। আইনের চেয়ে এটা পরামর্শই বেশি"। ইউয়েফার এফএফপি নিয়মের সমালোচনা করেছেন ক্লপ নিজের মতো করেই!
আর্সেনাল ম্যানেজার আর্সেন ওয়েঙ্গারও সমালোচনা করেছেন কাতারি প্রতিষ্ঠানের মাকিকানাধীন পিএসজির। নেইমারের জন্য প্রস্তাবিত ২২২ মিলিয়ন ইউরোকে 'অযৌক্তিক' বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। "একটা দেশ যদি ক্লাবের মালিকানা কিনে নেয় তাহলে তো সবই সম্ভব! এমনটা হলে তখন আর এফএফপি আইনের প্রতি সম্মান দেখানো সম্ভব হয় না।"
ক্লাবের পেছনে মালিক পক্ষের অঢেল টাকা বিনিয়োগের সমালোচনা করে আর্সেন ওয়েঙ্গার বলেন, " মালিকানা বদলের এই নিয়ম গত ১৫ বছরে ফুটবলের চেহারাই পাল্টে দিয়েছে। আমি সবসময়ই ফুটবলের নিজস্ব সম্পদের উপর নির্ভর করার পক্ষে কথা বলেছি। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। গতবছর আমরা ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের কোটা পার করেছি। এক বছরের মধ্যেই সেটা দুইশ'র ঘরে চলে গেল"।