রোনালদো ও মরিনহোর অন্যরকম ফেরা
মেসিডোনিয়ায় সচারচর চ্যাম্পিয়নস লিগ বা ইউরোপা লিগের কোন ম্যাচের দেখা পাওয়া যায় না। সেই দেশের রাজধানী স্কোপেতে আজ বসছে সুপার কাপের ম্যাচ। গতবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী বনাম ইউরোপা লিগ জয়ী দল। মৌসুম শুরুর ম্যাচেই থাকছে শিরোপা সংখ্যা বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ।
রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যাচ ঘিরে মেসিডোনিয়ানদের উত্তাপের আঁচটা ছড়িয়েছে পুরো বিশ্বেই। তবে ইউনাইটেড ম্যানেজার হোসে মরিনহোর জন্য বোধ হয় ম্যাচের গুরুত্বটা আরও একটু বেশিই। রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর এই প্রথম তাঁদের মুখোমুখি হচ্ছেন পর্তুগিজ ম্যানেজার। আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও আরও একবার প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছেন নিজের সাবেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। যে ক্লাবের ম্যানেজার আবার তারই 'সাবেক গুরু'। কনফেডারেশনস কাপের পর লম্বা ছুটি কাটিয়ে রিয়ালের ট্রেনিংয়ে ফিরলেও রোনালদোর ফিটনেস নিয়ে সংশয় আছে। জিনেদিন জিদানের শুরুর একাদশে তাই নাও থাকতে পারেন পর্তুগিজ উইঙ্গার।
এই দুই দল অবশ্য গত মাসেই প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রে খেলেছে একে অপরের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড পেনাল্টিতে জয় পেলেও, সুপার কাপের ম্যাচে তার কোন প্রভাব নেই বলে মনে করছেন মরিনহো। মৌসুমের শুরুতেই রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারাটাকে 'ভালো প্রস্তুতি' হিসেবেই দেখছেন তিনি।
"ইউরোপের সেরা দলের বিপক্ষে খেলতে পারার এই সুযোগটা দারুণ। প্রীতি ম্যাচ খেলা আর শিরোপার জন্য খেলা এক কথা নয়।" জানাচ্ছেন মরিনহো।
গত চার বছরে তিন বারই চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা গেছে রিয়াল মাদ্রিদের ঘরে। অন্যদিকে এই সময়টায় চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকেট যোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। তবে অতীত অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকলেও এই দলটাকে 'নতুন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড' বলছেন পর্তুগিজ ম্যানেজার।
অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো পরপর দু'বার শিরোপা জয়ের পর আরও একটি নতুন রেকর্ড গড়ার সামনে রিয়াল মাদ্রিদ ম্যানেজার জিনেদিন জিদান। গতবার সেভিয়াকে হারিয়ে সুপার কাপের শিরোপা জিতেছিল রিয়াল। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে শেষ এসি মিলান টানা দুবার জিততে পেরেছিল সুপার কাপের শিরোপা। ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্যের কথাই আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন জিদান।
"আমাদের একটা ভাল দল আছে। ফুটবলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল নিজের সেরাটা দিতে পারা। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল এই ক্লাবের ইতিহাস। দলের সবাই তাই আরও শিরোপা জিততে অনুপ্রাণিত।"
গতবার ইউরোপা লিগের ফাইনালের আগেই ডিফেন্ডার সঙ্কটে ভুগতে হয়েছিল মরিনহোকে। এই ম্যাচের আগেও জেঁকে বসেছে পুরোনো সমস্যা। ডিফেন্ডার বেইয়ি ও জোনসকে পাচ্ছেন তিনি এই ম্যাচে। তবে ইনজুরি থেকে ফিরেছেন মাতা ও হেরেরা।
রিয়াল মাদ্রিদ ম্যানেজার অবশ্য দলের সব নামকরা খেলোয়াড়ই পাচ্ছেন এই ম্যাচের আগে। এই ম্যাচের জন্য ঘোষণা করা ২৪ জনের দলে ঠাঁই হয়েছে জিদান পুত্র লুকা জিদানের। তবে এই ম্যাচে গোলবারের নিচে তাকে দেখার সম্ভাবনাই কমই।