• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    স্পার্সের ম্যাচে চেলসিকে জেতালেন আলোন্সো

    স্পার্সের ম্যাচে চেলসিকে জেতালেন আলোন্সো    

    গত মৌসুমে কোনো অ্যাওয়ে ম্যাচে জিততে না পারা বার্নলির কাছে স্টামফোর্ড ব্রিজে হেরে শুরু করেছিল চেলসি। পরের ম্যাচে এক মৌসুম ধরে ঘরের মাঠে কোনো ম্যাচ না হারা টটেনহামকে হারিয়ে দিয়ে মৌসুমের প্রথম জয় তুলে নিল আন্তোনিও কন্তের দল। নতুন মাঠ ওয়েম্বলিতে তাই টটেনহামের শুরুটা স্মরণীয় হল না। মারুসিও পচেত্তিনোও ঘরের মাঠে লন্ডন ডার্বিতে না হারার রেকর্ডটাও হাতছাড়া করলেন আজ চেলসির কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে। চেলসির জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মার্কোস আলোন্সোর।

    ওয়েম্বলিতে প্রিমিয়ার লিগ যুগের সূচনাটা টটেনহামের জন্য সুখকর না হলেও দুই দলের উত্তেজনায় ঠাসা লড়াইটা ছিল মনে রাখার মতো। পুরো ৯০ মিনিট যেন ফুটবল তার সবটুকু সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হয়েছিল ওয়েম্বলিতে। মার্কোস আলোন্সোর গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। ম্যাচে সুবিধা করতে না পারলেও ৮২ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী ছিল চেলসির লিড। কিন্তু এরপরই ফ্রি কিক থেকে নিজের জালে গোল করে বসেন তিন মিনিট আগে মাঠে নামা বাতসুয়াই। সমতায় ফেরে টটেনহাম। পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়ে খেলা স্পার্স এরপর জয়ের লক্ষ্যে বাকি সময় লড়তে থাকতে। কিন্তু ৮৮ মিনিটে খেলার রঙ আবারও বদলে দেন আলোন্সো। স্প্যানিশ লেফট উইংব্যাকের একক প্রচেষ্টার গোলে আবারও ম্যাচে এগিয়ে যায় চেলসি। ওই গোলেই শেষ পর্যন্ত আন্তোনিও কন্তের দল জয় নিয়েই ফেরে টটেনহামের মাঠ থেকে।

     

     

    মাঠের খেলা দেখে অবশ্য মনে হচ্ছিল হারটা প্রাপ্য ছিল না টটেনহামের। দুই দলের খেলায় বল দখলের লড়াই থেকে শুরু করে আক্রমণেও এগিয়ে ছিল তারাই। শেষ পর্যন্ত খালি হাতে ফেরায় অন্য সবার চেয়ে আফসোসটা একটু  বেশি পোড়াবে স্পার্স গোলরক্ষক হুগো লরিসকে। ৮৮ মিনিটে আরেকটু সতর্ক থাকলে হয়ত তার হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়া বলটা গোলে পরিণত হত না!

    নিষেধাজ্ঞার কারণে কাহিল, ফ্যাব্রেগাস না থাকায় নতুন এক দল মাঠিয়ে নামিয়েছিলেন চেলসি ম্যানেজার। একাদশে ছিলেন মোরাতা, রুডিগার ও বাকায়োকো। ম্যাচের প্রথম সুযোগটাও এসেছিল চেলসির স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের কাছেই। কিন্তু ফাঁকায় দাড়িয়ে থেকেও হেডটা ঠিকমতো করতে পারেননি মোরাতা। বল চলে যায় লরিসের পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে।

    গোলের জন্য অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি চেলসিকে। ২৪ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে নিখুঁত ফিনিশে বল জালে জড়ান মার্কোস আলোন্সো। এরপরই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে স্পার্স। তবে প্রথমার্ধের বাকিটা সময় চেলসিকে শাসন করলেও গোলের দেখা পায়নি তারা। ২৯ মিনিটে একবার হ্যারি কেনকে গোলবঞ্চিত করেন কোর্তোয়া। এরপর ৪২ মিনিটে ড্যালে অ্যালের দারুন পাস থেকে বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠিকঠাক শট করেছিলেন কেন। কিন্তু এবার বাধা হয়ে দাঁড়াল বারপোস্ট। নাকি ভাগ্য? আগস্ট মাসে গোলের দেখা পান না হ্যারি কেন। এই ম্যাচেও পুরোনো প্রবাদটাই যেন আরেকবার সত্যি হল তার জন্য।

    প্রথমার্ধ যেখান থেকে শেষ করেছিল, বিরতির পরও সেখান থেকেই শুরু করে স্পার্স। কিন্তু গোলের দেখা মিলছিল না কিছুতেই। পুরো ম্যাচেই চেলসি কোনঠাসা করে রেখছিল টটেনহাম। দূর্বল ক্রস আর ডিবক্সের ভেতর মানসম্পন্ন ফিনিশিংয়ের অভাবে  শেষ পর্যন্ত তাদের ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই। দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র দুবার প্রতিপক্ষের রক্ষণকে বিপদে ফেলতে পেরেছিল চেলসি। প্রতি আক্রমণে ৭৩ মিনিটে একবার স্পার্সের বারপোস্টে আঘান হেনেছিলেন উইলিয়ান। এর তিন মিনিট আগে মোরাতাও পেয়েছিলেন ভালো সুযোগ। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি কেউই।

    এরপর ৭৯ মিনিটে পেদ্রো ও বাতসুয়াইকে মাঠে নামান কন্তে। ৮২ মিনিটে এরিকসনের ক্রস থেকে নিজের জালে গোল দিয়ে বসেন বাতসুয়াই। কিন্তু পরে তার আফসোসটাও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি আলোন্সো।