বদলিরাই বদলে দিলেন ইউনাইটেডের ফল
প্রথমার্ধেই গোল পেতে পারত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ওল্ড ট্রাফোর্ডে রেড ডেভিলদের ৫ শট অন টার্গেটের বিপরীতে লেস্টার সিটির ছিল মাত্র ১টি। বল পজেশনেও এগিয়েই ছিল ঘরের দল। কিন্তু গোলের দেখাটাই শুধু পাচ্ছিল না। কাঙ্ক্ষিত সেই গোল পেতে ইউনাইটেডের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৭০ মিনিট পর্যন্ত। কিছুটা শঙ্কা ভর করলেও শেষ পর্যন্ত দুই বদলীর গোলে ২-০ ব্যবধানেই জিতেছে মরিনহোর দল।
টানা তিন জয়ে প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা আশানুরুপই হল ম্যান ইউনাইটেড সমর্থকদের জন্য। তবে গোলের দেখা পাওয়াটা সহজ ছিল না। ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দিতে ব্যর্থ হলেও, শেষ পর্যন্ত রাশফোর্ড ও ফেলানির গোলে আফসোসটা থাকার কথা না রোমেলু লুকাকুর। এর আগে প্রথমার্ধে হুয়ান মাতার একটি শট জালে জড়ালেও রেফারির সিদ্ধান্তে বাতিল হয় গোল। তবে পড়ে রিপ্লেতে দেখা যায় মাতা অনসাইডেই ছিলেন। ১৮ মিনিটে ঐ ঘটনার পর পল পগবাও পেয়েছিলেন দারুণ সুযোগ। কিন্তু ব্লিন্ডের ক্রস থেকে পা টা ঠিকভাবে লাগাতে পারেননি। বল চলে চায় বারপোস্টের বাইরে দিয়ে। এরপর লুকাকুর সাথে ওয়ান টু খেলে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন মাতা। দারুন প্লেসমেন্টে শটও চালিয়েছিলেন। কিন্তু ক্যাস্পার স্মাইকেলের হাতের ছোঁয়ায় জালের দিকে যেতে থাকা বল গতি পরিবর্তন করে বল চলে যায় অন্যদিকে। স্মাইকেল অবশ্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন পুরো ম্যাচেই। লুকাকুর পেনাল্টি ঠেকিয়ে হতে যেতে পারতেন ম্যাচের নায়কও। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি।
আগের ম্যাচের দল থেকে প্রথম একাদশে ছিলেন না শুধু মার্কাস রাশফোর্ড। তার জায়গায় নেমেছিলেন অ্যান্থনি মার্শিয়াল। প্রথমার্ধে ইউনাইটেডের ৬৫ শতাংশ বল পজেশনের বিপরীতে লেস্টার সিটি ছিল নিষ্প্রভ। দ্বিতীয়ার্ধেও গল্পটা লেস্টার সিটির জন্য ছিল একই রকম। ৯৪ মিনিটে অবশ্য অ্যান্ডি কিং এক গোল শোধ দেয়ার ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান ডেভিড গি ডিয়া। এছাড়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রক্ষণে তেমন কোনো ভীতির সঞ্চার করতে পারেননি মাহরেজ, ভার্ডিরা।
অবশেষে ৭০ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন মাতার বদলি হিসেবে খেলতে নামা রাশফোর্ড। মিখিতারিয়ানের কর্নার থেকে থেকে শট করে গোল করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। এক গোলে এগিয়ে থাকার পর আগের দুই ম্যাচের মতোই মারুয়ন ফেলাইনিকে মাঠে নামান মরিনহো। এর দুই মিনিট বাদেই মাঠে নামেন লিনগার্ড। ৮২ মিনিটে এই জুটিই নিশ্চিত করেন ইউনাইটেডের জয়। ডান দিক থেকে লিনগার্ডের ক্রস হাঁটুর ছোঁয়ায় ক্যাস্পার স্মাইকেলের জালে বলে ঢোকান ফেলাইনি। এরপর বাকি সময়ে ২-০ গোলের লিডটাই বজায় রাখতে সক্ষম হন ইউনাইটেড ডিফেন্ডাররা।