• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    এভারটনকে সহজেই হারাল চেলসি

    এভারটনকে সহজেই হারাল চেলসি    

    মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে হেরেছিল চেলসি। বার্নলির কাছে হারা ম্যাচেও ১ গোল আর ১ অ্যাসিস্টে আলভারো মোরাতা জানান দিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগে মানিয়ে নিতে খুব একটা অসুবিধা হবে না তার। আজ আবারও সেই ঘরের মাঠেই ফিরেছেন দলকে জিতিয়ে। এভারটনকে ২-০ ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে গোল করেছেন, গোল করিয়েছেনও! প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে পর পর দুই হোম ম্যাচেই গোল ও অ্যাসিস্টের রেকর্ড নেই আর কারও! 

    স্কোরলাইন অবশ্য ম্যাচে চেলসির দাপটের কথা বলছে না। কিন্তু ম্যাচটা হেসে খেলেই জিতেছে আন্তোনিও কন্তের দল। পুরো ৯০ মিনিটে এভারটনকে তেমন সুযোগই দেয়নি চেলসি। প্রথমার্ধেই দুই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় চেলসি। পরের অর্ধে গোলের দেখা না পেলেও মাঠে আধিপত্যটা ছিল আগের অর্ধের মতোই।

     




    এভারটনের বিপক্ষে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরেছিলেন সেস ফ্যাব্রিগাস। চেলসিকে প্রথমে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনিই। ২৭ মিনিটে মোরাতার সাথে ওয়ান-টু খেলে ডিবক্সের ভেতর ঢুকে পড়েন ফ্যাব্রিগাস। এরপর মোরাতার হেড থেকে ডান পায়ের শটে এভারটনের জালে বল জড়ান স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

    চেলসির প্রথমটির মতো দ্বিতীয় গোলটিও ছিল আরেক স্প্যানিশ জুটির অবদান। এবার গোলদাতা মোরাতা। আর অ্যাসিস্ট আজপিলিকুয়েতার। আগের বারের মতো এবারও হেডেই গোল করেন মোরাতা।

    চেলসির আধিপত্যে সদ্য ইউরোপা লিগের বাছাইপর্ব খেলে আসা এভারটনকে মনে হচ্ছিল পাড়ার কোনো দল! ওয়েইন রুনি আগের দুই ম্যাচে গোল পেলেও এদিন ছিলেন একেবারেই অনুজ্জ্বল। অন্যদিকে মিডফিল্ডে গিলফি সিগুর্ডসনও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে এভারটন ম্যানেজার রোনাল্ড কুমেন সান্দ্রো রামিরেজের বদলে ক্লাভের্ট লেউইনকে নামানোর পর কিছুটা দিশা খুঁজে পায় এভারটন। কিন্তু ততোক্ষোনে দেরী হয়ে গেছে অনেক! তার আগ পর্যন্ত থিবো কর্তোয়াকে তেমন কোন প্রশ্নের সম্মুখীন করতে পারেনি তার দল। ম্যাচজুড়ে চেলসির দাপট এতোটাই বেশি ছিল যে ৮৪ মিনিটের আগ পর্যন্ত ম্যাচে একটি মাত্র কর্নার পেয়েছিল এভারটন! এরপরের তিন মিনিটে গুয়েই, অ্যাশলি উইলিয়ামসরা গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে কাজে লাগাতে পারেননি।

    দ্বিতীয়ার্ধে সেভাবে নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও চেলসির পারফরম্যান্সেই সন্তুষ্টই থাকার কথা কন্তের। প্রথম ম্যাচে রক্ষণের ভুলগুলো এরই মাঝে শুধরে ফেলেছে তার দল। আর মিডফিল্ডে ফাব্রিগাসের ফিরে আসাও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছে দলে। দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় চেলসির এই উন্নতিগুলো ছিল চোখে পড়ার মতো। শেষ দিকে বাকায়োকো ও বাতসুয়াইকে মাঠে নামিয়েছিলেন কন্তে। বদলী নেমে বাতসুয়াইও অবদান রাখতে পারতেন দলের সহজ জয়ে। ৮০ মিনিটে ফাঁকায় থাকা উইলিয়ানকে সময়মতো পাসটা দিলে হয়ত তিন গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ত চেলসি। কিন্তু বাতসুয়াই পাসটা দিয়েছিলেন বাকায়োকোকে। তার শট সহজেই আটকে দেন গোলরক্ষক। ব্যবধানটা দুই গোলের হলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা একপেশে বানিয়েই জেতে চেলসি।