• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    অ্যানফিল্ডে আর্সেনালকে গুঁড়িয়ে দিল লিভারপুল

    অ্যানফিল্ডে আর্সেনালকে গুঁড়িয়ে দিল লিভারপুল    

    লিভারপুল-আর্সেনালের ম্যাচ মানেই উত্তেজনা, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। প্রিমিয়ার লিগে এই দুই দলের অতীত ইতিহাস সেই সাক্ষীই দেয়। কিন্তু আজকের ম্যাচটা হল একপেশে। অ্যানফিল্ডে আর্সেনালকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লিভারপুল।

    লিভারপুলের হয়ে তিন ফরোয়ার্ডই গোল পেয়েছেন। প্রায় প্রতিটি আক্রমণেই আর্সেনালের রক্ষণে ভীতি ছড়িয়েছেন এই তিন জন। পরে ফিরিমিনোর বদলি হিসেবে নেমে স্কোরশিটে নাম লিখিয়েছেন ড্যানিয়েল স্টারিজও। পুরো ম্যাচে আর্সেনলাকে কোনঠাসা করে রাখা লিভারপুল অবশ্য জিততে পারত আরও বড় ব্যবধানে। চার গোল হজম করলেও আর্সেনালের হারটা আরও বিব্রতকর হতে দেননি গোলরক্ষক পিটার চেক।



     

    অ্যানফিল্ডে শুরুতে লাকাজেত ও কোলাসিনাচকে ছাড়াই একাদশ নামিয়েছিলেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। রক্ষণে ছিলেন না মুস্তাফিও। একে তো লিভারপুলের হাই প্রেসিং গেম, তার উপর আর্সেনাল ডিফেন্ডারও বসেছিলেন ভুলের পসরা সাজিয়ে! সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে বড় জয় তুলে নিতে ভুল করেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।

    ১৭ মিনিটে লেফটব্যাক গোমেজের ক্রস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রবার্তো ফিরমিনো। এর কিছুক্ষণ আগেই অবশ্য দারুন এক সেভ করে ম্যাচে সমতা বজায় রেখেছিলেন চেক, এমরে চান ও মোহাম্মাদ সালাহর পরপর দুটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে।

     



    এক গোলে এগিয়ে গিয়ে আক্রমণে আর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে লিভারপুল। বিশেষ করে দুই উইং দিয়ে মানে ও সালাহ ত্রাস হয়ে ওঠেন আর্সেনাল ডিফেন্ডারদের জন্য। মেসুত ওজিলের একটি ভুল থেকে গোল করে শাস্তিটা তখনই দিতে পারতেন হেন্ডারসন। কিন্তু তার শট চলে যায় বারপোস্টের বাইরে দিয়ে। এরপর অবশ্য লিড বাড়াতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি লিভারপুলকে। প্রতি আক্রমণ থেকে সাদিও মানে একক দক্ষতায় বল জড়ান চেকের জালে।

    দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটাও ছিল প্রায় একই রকম। শুরুতে আক্রমণাত্মক লিভারপুলের বিপক্ষে কিছুটা গুছিয়ে খেলার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি আর্সেনালের। উল্টো ৫৪ মিনিটে আরও এক গোল হজম করতে পারত তারা। সালাহর শট ঠেকিয়ে দিয়ে আর্সেনালকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন চেক। তবে খুব বেশি সময় তাকে আর চেক দিয়ে রাখতে পারেননি গানার গোলরক্ষক। এর তিন মিনিট পরই আর্সেনালের এক কর্নার থেকে বল চলে যায় মাঝমাঠে থাকা বেয়ারিনের কাছে। মোহাম্মাদ সালাহর কাছে সেখান থেকেই বল হারান বেয়ারিন। বাকিটা কাজটা নিজের গতি আর দক্ষতা দিয়েই শেষ করেছেন সালাহ। ওয়ান অন ওয়ানে তৃতীয় চেষ্টায় চেককে এবার ফাঁকি দিতে পারলেন মিশরীয় উইঙ্গার। ৫৭ মিনিটে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০!


     

    ৭৪ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে আরও এক গোল করতে পারতেন মানে। সালাহও পেতে পারতেন নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা। কিন্তু দুইবারই বাঁধা হয়ে দাঁড়ান আর্সেনাল গোলরক্ষ। ৩ গোলে পিছিয়ে পড়ে অ্যালেক্সিস সানচেজকে মাঠ থেকে তুলে নেন ওয়েঙ্গার। লাকাতেজ ও অলিভিয়ের জিরু মাঠে নেমেও তেমন কিছুই করতে পারেননি। ম্যাচটা ততোক্ষণে চলে গেছে লিভারপুলের হাতে। ৭৭ মিনিটে স্টারিজও যোগ দেন লিভারপুলের গোল উৎসবে। সালাহর ক্রস থেকে হেড করে জালে বল জড়ান স্টারিজ।

    পিটার চেকের চার গোল হজমের রাতে লিভারপুল গোলরক্ষক লুকাস কারিয়াস পার করেছেন অলস সময়! ৯০ মিনিটের ম্যাচে একটিও অন টার্গেট শট করতে ব্যর্থ হয়েছে আর্সেনাল। এমন ‘নিষ্প্রভ’ ম্যাচ বোধ হয় এর আগে কখনও খেলতে হয়নি কারিয়াসকে!

    রাতে অন্য ম্যাচে যোগ করা সময়ে গোল হজম করে ঘরের মাঠে বার্নলির সাথে ১-১ এ ড্র করেছে টটেনহাম।