• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    ইতালিকে হারিয়ে রাশিয়ার পথে স্পেন

    ইতালিকে হারিয়ে রাশিয়ার পথে স্পেন    

    সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দর্শকের করতালিতে ৮৯ মিনিটে ইস্কোর বদলি হয়ে মাঠে নামলেন ডেভিড ভিয়া। তিন বছর বিরতির পর আজকের ম্যাচ দিয়েই ফিরলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে। তবে ততোক্ষণে ম্যাচে জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে স্পেন। যার বদলী হয়ে নেমেছেন ভিয়া, সেই ইস্কোই কেড়ে নিয়েছেন ম্যাচের সবটুকু আলো। অন্যদিকে ইতালির বেঞ্চে তখন রাজ্যের আঁধার ভর করেছে! আজ্জুরিদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৫৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা যে শেষ হল আজই! ইস্কোর দুই, আর আলভারো মোরাতার এক গোলে ইতালি হারল ৩-০ ব্যবধানে। ১৯৫৭ সালে শেষ পর্তুগালের সাথে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এতো বড় ব্যবধানে হেরেছিল ইতালি!

    স্পেনের চেয়ে বরং ইস্কোর কাছেই বেশি হেরেছে ইতালি। বার্নাব্যুতে ম্যাচের মাত্র ১৩ মিনিটেই ফ্রি কিক থেকে স্পেনকে এগিয়ে দিয়েছিলেন 'ঘরের ছেলে' ইস্কো। স্পেনের ৪-৩-৩ ফর্মেশনে ছিল না কোনো স্ট্রাইকার! সেই দায়িত্বটা পড়েছিল ইস্কোর উপরেই! ইস্কোও হতাশ করেননি। প্রথম গোলের পরই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন স্পেনের জার্সি গায়ে রাতটা স্মরণীয় করে রাখবেন আজ।



    বিরতির আগেই নিজের দ্বিতীয় গোল করে স্পেনের জন্য কাজটা সহজ করে দেন ইস্কোই। ৪০ মিনিটে ইনিয়েস্তার পাস থেকে ডিবক্সের বাইরে বল পান রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার। এরপর ইতালির দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বুফনের জালে বল জড়ান। 

    প্রথমার্ধে স্পেনের বিপরীতে ইতালির আক্রমণ ছিল নিষ্প্রভ। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতির পর কিছুটা গুছিয়ে খেলা শুরু করে ইতালি। কিন্তু দুই স্ট্রাইকারকে ভালো গোলের সুযোগ তৈরি করে দিতে ব্যর্থ হন ইনিসিনিয়ে, ক্যান্দ্রেভারা। মার্কো ভেরাত্তি পুরো ম্যাচেই সংগ্রাম করেছেন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। আক্রমণভাগে আন্দ্রেয়া বেলত্তি আর সিরো ইম্মোবিলেও  তাই ছিলেন নিজের ছায়া হয়েই। ৭০ মিনিটের পর এই দুইজনকে  তুলে নিয়ে নতুন ফরোয়ার্ড নামিয়েও তাই লাভ হয়নি ইতালির।



    দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে ইতালির বেশ কয়েকটি আক্রমণ সামলে উঠে সময়ের সাথে সাথেই হারানো ছন্দ খুঁজে পায় স্পেন। ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ীদের হয়ে সবচেয়ে বেশি সপ্রিতিভ ছিলেন ইস্কোই। স্ট্রাইকার হিসেবে নামলেও ছিলেন পুরো মাঠ জুড়েই। মাঝমাঠ থেকে তার দেয়া কয়েকটি পাস ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারলে স্পেন জিততে পারত আরও বড় ব্যবধানে। আর ইস্কোর সাথে আক্রমণভাগে নামা আসেনসিও, সিলভারাও প্রায়ই সমস্যার সৃষ্টি করেছেন ইতালির রক্ষণে। 

    ৬৮ মিনিটে ইস্কোর এমনই এক পাস থেকে বল পেয়ে যান কারভাহাল। তবে এবার বাঁধা হয়ে দাঁড়ান জিয়ানলুইজি বুফন। তবে বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেননি স্পেনকে। ৭৭ মিনিটে দারুণ এক প্রতি আক্রমণ থেকে গোল করে লিড বাড়িয়ে নেন আলভারো মোরাতা। সার্জিও রামোসের ডান প্রান্ত থেকে দেয়া পাসে বল জড়ান তিনি বুফন জালে। 

    ৭২ মিনিটে মাঠে নামা মোরাতা অবশ্য পরে আরও সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যবধান বাড়ানোর। তবে শেষ পর্যন্ত আর কাজে লাগাতে পারেননি সেগুলো। আর তিন গোলে পিছিয়ে পড়ে ইতালির খেলায়ও ফিরে আসার কোনো ইঙ্গিতই ছিল না। আজকের হারের পর গ্রুপের দ্বিতীয়তেই থাকল ইতালি। আর ১৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ 'জি' এর শীর্ষে স্পেন। গ্রুপ 'ডি'  এর অন্য ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপে জায়গায় পাওয়ার আশা টিকিয়ে রেখেছে ওয়েলস।