লিভারপুলের জালে সিটির গোল উৎসব
আগের ম্যাচে আর্সেনালকে ঘরের মাঠে ৪ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল লিভারপুল। পরের ম্যাচেই মুদ্রার উলটো পিঠটাও দেখতে হল ইয়ুর্গেন ক্লপের দলকে। ইতিহাদে লিভারপুলের জালে পাঁচ বার বল পাঠিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি! আর তাতেই গার্দিওলার দলও জিতেছে ৫-০ ব্যবধানেই।
ম্যাচের মাত্র ২৪ মিনিটে ঘরের দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সার্জিও আগুয়েরো। মাঝমাঠ থেকে ডি ব্রুইনার পাসে ওয়ান অন ওয়ানে সিমিওন মিনিওলোকে বোকা বানিয়ে লিভারপুলের জালে প্রথম বল জড়ান আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। এই গোলেই একটা মাইলফলকও ছুঁয়েছেন আগুয়েরো। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে নন-ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়দের মধ্যে এখন তার গোলই সবচেয়ে বেশি।
আগুয়েরোর গোলের পর ম্যাচে সমতায় ফেরার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল। সাদিও মানের পাস থেকে মোহাম্মাদ সালাহ অবশ্য সিটি গোলরকক্ষক এডারসনকে হারাতে পারেননি। দারুণ সেভ করলেও ম্যাচটা অবশ্য ভালো যায়নি ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকের। ৩৭ মিনিটে বল দখলের লড়াইয়ে মানের সাথে সংঘর্ষের পর মাঠেই লুটিয়ে পড়েন এডারসন। এরপর দুই জনকেই মাঠ ছাড়তে হয়। তবে মানে মাঠ ছাড়েন লাল কার্ড দেখে। আর এডারসনের বদলি হয়ে নামেন ক্লদিও ব্রাভো।
দশ জনের লিভারপুলের বিপক্ষে বিরতির আগেই দুই গোলের লিড নেয় গার্দিওলার দল। এবারও গোলের উৎস ডি ব্রুইনা। বাঁ দিক থেকে তার ক্রসে হেড করে ম্যাচে নিজের প্রথম গোল করেন গ্যাব্রিয়েল জিসুস। মানে লাল কার্ড দেখার আগেও লিভারপুলের খেলা ছিল ছন্নছাড়া, দশ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর আসলে ম্যাচে ফেরার আর কোনো সুযোগই পায়নি তারা।
একজন কম আর দুই গোলে পিছিয়ে থেকে লিভারপুলের জন্য কাজটা ছিল প্রায় অসম্ভবই। বিরতির পর সালাহকে বদলে ক্লপ মাঠে নামান নতুন সাইনিং অ্যালেক্স অক্সলেড চেম্বারলাইনকে। তবে লিভারপুলের জার্সি গায়ে প্রিমিয়ার লিগের অভিষেকটা শেষ পর্যন্ত হতাশারই হয়েছে ইংলিশ মিডফিল্ডারের। দ্বিতীয়ার্ধের খেলায়ও ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সংকেতই ছিল না ক্লপের দলের খেলায়। উলটো ৫৩ মিনিটে আরও এক গোল হজম করে বড় হার চোখ রাঙাতে থাকে লিভারপুলকে। এবার ফার্নান্দিনহোর পাস খুঁজে পায় আগুয়েরোকে। প্রথম গোলের মতো প্রায় একই পরিস্থিতে নিজেই জালে বল জড়াতে পারতেন তিনি। কিন্তু আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার পাস দেন ব্রাজিলিয়ান সতীর্থকেই। জিসুসও ভুল করেননি ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করতে।
ওই গোলের পরপরই লিরয় সানের বদলি হয়ে মাঠ ছাড়েন জিসুস। মাঠে নেমে বাকিটা সময় নিজের করে নেন এই জার্মান মিডফিল্ডার। প্রথম গোল করেন ৭৭ মিনিটে। এরপর ম্যাচ শেষের কিছু আগে ডিবক্সের বাইরে থেকে চোখ ধাঁধানো শটে গোল করে লিভারপুলের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন সানেই।