• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    চারে এসে ইউনাইটেডের হোঁচট

    চারে এসে ইউনাইটেডের হোঁচট    

    বড় দল না হলেও স্টোক সিটির মাঠটা যে কোনো দলের জন্যই পরীক্ষা। নিজেদের মাঠে প্রতিপক্ষকে আটকে দেয়ার সক্ষমতার কারণেই বড় দলগুলোর কাছে 'দুর্নাম' আছে এই মাঠটার। কয়েকদিন আগে আর্সেনালও হেরে গেছে এখান থেকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য তাই কাজটা কঠিনই ছিল। দারুণ ছন্দে থাকায় হোসে মরিনহোর দলের পক্ষেই বাজি ধরেছিলেন বেশিরভাগ লোক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও পারেনি বেট থ্রি সিক্সটি ফাইভ থেকে জয় নিয়ে ফিরতে। আক্রমণ-পালটা আক্রমণে ম্যাচে দুই দল ড্র করেছে ২-২ গোলে।

    টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর তাই অবশেষে থামতে হল রেড ডেভিলদের। তবে গোল গড়ে এগিয়ে থেকে ম্যানচেস্টার সিটিকে দুই নম্বরে রেখে তাদের উপরেই আছে ম্যান ইউনাইটেড। 



    ম্যাচের শুরু থেকেই বেশ সাজিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করছিল স্টোক সিটি। অবশেষে ৪৩ মিনিটে লিড পায় তারা। স্টোকের নতুন নাম্বার টেন চপু-মটিংয়ের গোল থেকে। ক্যামেরুনিয়ান এই ফরোয়ার্ডই আসলে ম্যান ইউনাইটেডকে আটকে দেয়ার নায়ক। স্টোকের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে সমতাসূচক গোলটিও তারই করা। 

    ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে গেলেও বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি মার্ক হিউজের দল। বিরতির আগেই সমতায় ফেরে ইউনাইটেড। মার্কোস র‍্যাশফোর্ডের গোল থেকে। এই গোলে অবশ্য র‍্যাশফোর্ডের চেয়ে পল পগবার অবদানটাই বেশি। কর্নার থেকে হেড করেছিলেন পগবা। সেই বল র‍্যাশফোর্ডের গায়ে লেগে ঢুকে যায় স্টোক সিটির জালে। অনেকটা ভাগ্যের জোরেই প্রথমার্ধে সমতায় ফেরে ইউনাইটেড। তবে এই গোলে অবদান যাই থাকুক না কেন, ছোট খাটো একটা রেকর্ড করে ফেলেছেন র‍্যাশফোর্ড। টিন এজার হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এখন তার চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল একজনেরই। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক অধিনায়ক ওয়েইন রুনির ১৫, আর র‍্যাশফোর্ডের ১২।


    দ্বিতীয়ার্ধে শুরুটা শক্তিশালী ভাবেই করে মরিনহোর দল। আগের তিন ম্যাচে দলে না থাকলেও আজ নেমেছিলেন অ্যান্ডার হেরেরা।  স্প্যানিশ মিডফিল্ডার নেমানিয়ে মাতিচের সাথে মাঝমাঠের হাল ধরায়, পগবা খেলছেন রোমেলু লুকাকুর ঠিক পিছনেই। তবে ইউনাইটেডের দ্বিতীয় গোলে অবদানটা হেনরিখ মিখিতারিয়ানেরই। ইউনাইটেডের শতভাগ জয়ের রেকর্ড হাতছাড়া হলেও, প্রতি ম্যাচেই অ্যাসিস্টের ধারাটা অব্যাহত রেখেছেন আর্মেনিয়ান মিডফিল্ডার। তার পাস থেকেই ৫৮ মিনিটে ওয়ান অন ওয়ানে গোলরক্ষক বাটল্যান্ডকে পেয়ে গিয়েছিলেন লুকাকু। প্রথম দফায় লুকাকুর শট ঠেকিয়ে দেন বাটল্যান্ড, কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি। এই ম্যাচেও জালের ঠিকানা খুঁজে পেয়ে লুকাকু তার গোল সংখ্যা নিয়ে গেছেন চারে। 



    পেছন থেকে এসে এগিয়ে গেলেও, ইউনাইটেডও পারেনি নিজেদের লিড ধরে রাখতে। ৬২ মিনিটে জেসে রদ্রিগেজের দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন ডেভিড ডি গিয়া। সেই কর্নার থেকেই সমতায় ফেরে স্টোক। আবারও হেডে গোল করেন চপু-মাটিং। 



     

    পরে হুয়ান মাতা আর অ্যান্থনি মার্শিয়ালকে নামিয়েও তেমন সুবিধা করতে পারেনি ইউনাইটেড। বাকি সময়ে গোলের সুযোগ পেয়েছিল দুই দলই। দুই পাশের দুই গোলরক্ষকই ব্যস্ত ছিলেন, দারুণ কিছু সেভও করেছেন। কিন্তু সেরা সুযোগটা এসেছিলেন লুকাকুর কাছে। ৮২ মিনিটে অবশ্য সে দফায় আর গোলের ঠিকানা খুঁজে পাননি বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। তার ভলি চলে যায় বারপোস্টের অনেক উপর দিয়ে। ফলে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই ম্যানেজারকে।