জয় পেল না শুধু লিভারপুলই
গতকাল দুই ইংলিশ ক্লাবই জয় পেয়েছিল। বাকি তিন দলের মধ্যে আজ জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি আর টটেনহাম হটস্পার্সও। চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচে কেবল জিততে পারল না লিভারপুলই। অ্যানফিল্ডে সেভিয়ার সাথে ২-২ গোলে ড্র করেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
দীর্ঘ বিরতির পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ফিরে শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল লিভারপুল। ম্যাচের ৫ মিনিটে ডিফেন্ডার ডেয়ান লভ্রেনের ভুলেই কপাল পোড়ে কপদের। ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে না পারায় লেফট উইং থেকে আসা ক্রস সহজেই লরিস ক্যারিয়াসের জালে জড়ান বেন ইয়েদ্দের। সেভিয়ার সেই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। প্রথমার্ধেই দুই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে তারা। ৪২ মিনিটে রবার্তো ফিরমিনো পেনাল্টি মিস না করলে বিরতির আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে পারত স্প্যানিশ ক্লাবটি। ২০০৭ সালে স্টিভেন জেরার্ডের পর এই প্রথম লিভারপুলের জার্সি গায়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে কোনো খেলোয়াড় পেনাল্টি মিস করলেন।
পেনাল্টি মিসের আগে অবশ্য লিভারপুলকে স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন ফিরমিনোই। ডিবক্সের বাইরে থেকে জর্ডান হেন্ডারসনের দেয়া পাস থেকে ক্রস করেন লেফটব্যাক আলবাররো মরেনো। ২১ মিনিটে সেই ক্রসকেই গোলে পরিণত করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। প্রথম গোলটা সাজানো আক্রমণের ফল হলেও, লিভারপুলের দ্বিতীয় গোলে ভাগ্যটাই ছিল বেশি। আর সেভিয়ার জন্য ছিল 'দুর্ভাগ্য'। ৩৭ মিনিটে মোহাম্মাদ সালাহর শট সেভিয়া ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে মাটিতে ড্রপ খেয়ে ঢোকে সার্জিও রিকোর জালে।
এরপর পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলেও বিরতির পরও মনে হচ্ছিল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে লিভারপুল। কিন্তু ৭২ মিনিটে সব হিসেব পালটে দেন হোয়াকিন কোরেয়া। লুইস মুরিয়েলের পাস নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ এক গোল করে অ্যানফিল্ডের দর্শকদের স্তব্ধ করে দেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এরপরই এমরে চানের বদলে ফিলিপে কুতিনহোকে মাঠে নামান ক্লপ। কিন্তু বাকি সময়ে তিনিও পারেননি লিভারপুলের হয়ে গোল আদায় করতে। উল্টো ৬৯ মিনিটে মাঠে নামা মুরিয়েল অন্তিম মুহুর্তে গোল করার ভালো এক সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু গোলকিপারের সাথে ওয়ান অন ওয়ান পরিস্থিতি থেকেও বারপোস্টের বাইরে দিয়েই বল পাঠিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে মাইবোর আর স্পার্টাক মস্কোর ম্যাচও ১-১ গোলে ড্র হওয়ায়, এই গ্রুপের সবার পয়েন্ট তাই এখনও সমান।
আগের ম্যাচে লিভারপুলকে ৫ গোলে হারানো ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়নস লিগেও পেয়েছে বড় জয়। গ্রুপ 'এফ' এর ম্যাচে ফেইনুর্দের মাঠ থেকে ফিরেছে ৪-০ গোলের জয় নিয়ে। দুই গোল করেছেন ডিফেন্ডার জন স্টোনস। স্টোনসের শুরু আর শেষে হেডে করা গোলের মাঝে বাকি দুইটি এসেছে সার্জিও আগুয়েরো ও গ্যাব্রিয়েল জিসুসের পা থেকে। সিটি প্রত্যাশিত জয় পেলেও গ্রুপের অন্য ম্যাচের স্কোরলাইনটা চমক জাগানোর মতোই। ইউক্রেনে শাখতার দোনেতস্কের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে নাপোলি।
তবে গ্রুপ 'জি' এর পোর্তো-বেসিকতাসের ম্যাচটাই এই সপ্তাহের চ্যাম্পিয়নস লিগের সবচেয়ে বড় 'অঘটন'। ঘরের মাঠে তার্কিশ প্রতিপক্ষের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে পোর্তো। আর রেডবুল অ্যারিনায় লাইপজিগের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়ে জার্মানি থেকে ফিরেছে মোনাকো।