শততম ম্যাচে দিবালার হ্যাটট্রিক
কিছুতেই যেন গোল করা থামাতে পারছেন না পাউলো দিবালা। সিরি আতে আগের তিন ম্যাচেই জালে বল জড়িয়েছিলেন। জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে নিজের শততম ম্যাচে আজ নেমেছিলেন সাসুওলোর বিপক্ষে। হ্যাটট্রিক করে স্মরণীয় করে রাখলেন মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচটা। দিবালার তিন গোলে জুভেন্টাসও জিতেছে ৩-১ ব্যবধানে। সিরি আতে চার ম্যাচের সবগুলোতে জিতে ইন্টার মিলানের সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল গড়ে এগিয়ে থেকে শীর্ষেই আছে ম্যাক্সিমিলিয়ানো আলেগ্রির দল।
সাসুওলোর মাঠে ম্যাচের প্রথম দশ মিনিটের মাঝে অবশ্য এগিয়ে যেতে পারত জুভেন্টাস। তবে দুইবারই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন আন্দ্রে কনসিগ্লি। প্রথমে মিরালেম পিয়ানিচ ও পরে গঞ্জালো হিগুয়াইনকে গোলবঞ্চিত করেন সাসুওলোর গোলরক্ষক। তবে খুব বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেননি জুভেন্টাসকে। ১৬ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করে ম্যাচে নিজের প্রথম গোল করেন দিবালা।এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন মারিও মাঞ্জুকিচ। তার পাস থেকেই দারুন প্লেসমেন্টে শট করে জালে বল জড়ান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। প্রথম গোলে শততম ম্যাচে জুভেন্টাসের হয়ে ৫০ গোলের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন দিবালা। পরে সেই সংখ্যাটা বাড়িয়েছেন আরও। সাথে সিরি আর প্রথম চার ম্যাচে গোল করা একমাত্র জুভেন্টাস খেলোয়াড়ও বনে গেছেন এই ২৩ বছর বয়সী।
এরপর অবশ্য সাসুওলো ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় কিছু আক্রমণ করেছিল। কিন্তু দুই স্ট্রাইকারের কেউই জিয়ানলুইজি বুফনকে তেমন বিপদে ফেলতে পারেননি। উলটো প্রতি আক্রমণে সাসুওলোর রক্ষণে ত্রাস ছড়াচ্ছিল জুভেন্টাস। বিরতির আগেই দুই গোলের লিড নিতে পারত তারা। তবে দিবালা, হিগুয়াইন জুটির সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরেক দফায় ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করে সেই জুভের সেই আফসোস ভুলিয়ে দেন দিবালা। এবার ডিবক্সের ভেতর থেকে বোকা বানান কনসিগ্লিকে। দ্বিতীয় গোলের সময় অবশ্য পাঁচজন সাসুওলো ডিফেন্ডার ঘিরে রেখেছিলেন দিবালাকে। কিন্তু ডিফেন্ডার বা গোলরক্ষক কেউই আটকাতে পারেননি তাকে।
৪৯ মিনিটে দিবালার গোলে তখন মনে হচ্ছিল সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে জুভেন্টাস। কিন্তু দুই মিনিট পরই এক গোল শোধ দিয়ে কাজটা কঠিন বানিয়ে করে দেন মাত্তেও পলিতানো। তুরিনের ওল্ড লেডিদের উপর ভর করা পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা অবশ্য খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৬৩ মিনিটে আরও একবার গোল করে দলের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন দিবালা। এবার ডিবক্সের ঠিক বাইরে থেকে ফ্রি কিকে সাসুওলো ডিফেন্ডারদের মানব দেয়ালের উপর দিয়ে বল জড়ান জালে। গোলরক্ষক কনসিগ্লি ঠায় দাঁড়িয়েই ছিলেন নিজের জায়গায়। এক দিবালার কাছেই তো আসলে হেরে গেছেন তিনি!