ড্রয়ে উত্তেজনা ছড়াল লুইজের লাল কার্ডই
আগের দুই অ্যাওয়ে ম্যাচেই হেরেছিল আর্সেনাল। ১৯৫৪ সালের পর টানা তিন অ্যাওয়ে ম্যাচে হারের শঙ্কা চোখ রাঙাচ্ছিল স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে শেষ পর্যন্ত আর হারতে হয়নি এবার তাদেরকে। চেলসির সাথে গোলশূন্য ড্র করেছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল।
তবে চেলসির মাঠে আর্সেনালই ছিল বেশি উজ্জ্বল। সহজ কিছু গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত আর্সেনাল। ৮৭ মিনিটে ডেভিড লুইজ সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেও দশ জনের দল নিয়েই শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আন্তোনিও কন্তের দল।
ইনজুরির কারণে মেসুত ওজিল আগে থেকেই বাদ পড়েছিলেন। তবে আর্সেন ওয়েঙ্গারের চমক ছিল অন্যরকম। চেলসির বিপক্ষে শুরু একাদশে তিনি দলে রাখেননি অ্যালেক্সিস সানচেজকে। তবুও ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগটা এসেছিল আর্সেনালের কাছেই। হেক্টর বেয়ারিনের ক্রস থেকে ফাঁকায় থেকেও হেড করে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি ড্যানি ওয়েলবেক। পরে ৪১ মিনিটে গোল পেতে পেতেও পাওয়া হয়নি আর্সেনালের। মাঝমাঠ থেকে অ্যারন রামসে কাটিয়ে ঢুকেছিলেন চেলসির ডিবক্সের ভেতর। শটও করেছিলেন। কিন্তু বারপোস্টের ভেতরের অংশে লেগে ফেরত আসে বল। ফিরতি বলে অ্যালেক্সাজান্ডার লাকাজেতও পারতেন গোল করতে। কিন্তু ফাঁকা পোস্টে উড়িয়ে উপর দিয়ে মারেন ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধে আক্রমণাত্মক শুরু করলেও সময়ের সাথেই চেলসির আক্রমণের ধার কমে আসে। বিশেষ করে ডান দিক থেকে হেক্টর বেয়ারিনকে সামলাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছিল চেলসি রক্ষণকে। তাই বিরতির পরই পেদ্রোকে উঠিয়ে বাকোয়েকোকে নামান কন্তে। এরপর চেলসির খেলায় কিছুটা সমন্বয় ফিরে এলেও আক্রমণগুলো অনেক আগেই প্রতিহত করে দিচ্ছিল আর্সেনাল। পরে ৭০ মিনিটে এডেন হ্যাজার্ড নেমেও ফাটল ধরাতে পারেননি গানারদের রক্ষণে। ৮০ মিনিটে অবশ্য একটি শট নিয়েছিলেন গোল বরাবর। তবে পিটার চেক শক্ত হাতেই ফিরিয়ে দিয়েছেন সাবেক সতীর্থকে।
দ্বিতীয়ার্ধে তেমন আক্রমণ করতে না পারলেও জালে বল জড়িয়েছিল আর্সেনালই। ৭৪ মিনিটে হেড দিয়ে গোল করে উদযাপনও শুরু করেছিলেন মুস্তাফি। কিন্তু রেফারির অফসাইড সিদ্ধান্তে পরে বাতিল হয় সেই গোল।
লন্ডন ডার্বিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল আসলে শেষদিকেই। বল হারিয়ে কোলাসিনাচকে ফাউল করে বসেন ডেভিড লুইজ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একবার হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। কিন্তু এই ফাউলের পর লুইজকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি মাইকেল অলিভার। এই নিয়ে আর্সেনালের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচেই লাল কার্ড দেখলেন চেলসির কোনো খেলোয়াড়। বাকি সময় দশ জনের দলের বিপক্ষে সুযোগটা নিতে পারেনি আর্সেনাল। আর বাকি সময়ে চেলসিও খেলেছে সাবধানতা নিয়েই। ফলে ১২ বছর স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ক্লিনশিট রাখতে পারল আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল।