পেনাল্টি নিয়ে নেইমার-কাভানির 'দ্বন্দ্ব' চান না পিএসজি কোচ
৭৯ মিনিটে পেনাল্টি নিতে এগিয়ে আসলেন এডিনসন কাভানি। কিক নেওয়ার জন্য বল মাটিতে রাখবেন, ঠিক সেই সময় কাছে এসে পেনাল্টিটা নিতে চাইলেন নেইমার। এ নিয়ে দুজন কিছুক্ষণের বেশ কিছুক্ষণ কথাও হলো। শেষমেশ কাভানি নেইমারকে বুঝিয়ে দিলেন, কিক তিনিই নিচ্ছেন। পেনাল্টি নিতে না পারায় নেইমারের চেহারায় হতাশার ছাপ স্পষ্ট ছিল। ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ উনাই এমেরি বলছেন, পেনাল্টি নিয়ে কাভানি-নেইমার দ্বন্দ্ব দেখতে চান না তিনি।
লিঁও বিপক্ষে পিএসজি তখন ১-০ তে এগিয়ে। এমবাপ্পেকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করলেন লিঁওর ফার্নান্দ মেন্দি, রেফারিও পেনাল্টির বাঁশি বাজালেন। গোল করলেই দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হবে, এরকম অবস্থায় পেনাল্টি নেওয়ার জন্য নেইমার-কাভানি দুজনই আগ্রহী ছিলেন। নেইমারকে শট নিতে না দিয়ে পেনাল্টি নিয়েছে কাভানিই, পরে অবশ্য পেনাল্টিটা মিসও করেছেন। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে জিতেছে পিএসজি।
পেনাল্টি নিয়ে দলের বড় তুই তারকার এরকম দ্বন্দ্ব অন্যদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে বলেই আশংকা করছেন এমেরি, “ আমি দুজনকে বলেছি ব্যাপারটা নিজেদের মাঝে মিটমাট করে ফেলতে। তারা দুজনই ফ্রি কিক ও পেনাল্টি ভালোভাবেই সামলাতে পারে। আশা করি এই সমস্যা তারা দ্রুতই মিটিয়ে ফেলবে। এটা তো মাঠেই মিটিয়ে ফেলার মতো ব্যাপার! যদি তারা এটা না করে, তাহলে আমিই সিদ্ধান্ত দেবো কে কিক নেবে। আমি চাইনা এটা দলের জন্য কোনো সমস্যা বয়ে আনুক।”
শুধু ওই পেনাল্টি নয়, তার কিছুক্ষণ আগেই একটি ফ্রি কিক নিয়েও ঘটতে পারত একই ঘটনা। সেবার কাভানিকে বল না দিয়ে নেইমারকে ফ্রি কিক নিতে দিয়েছিলেন দানি আলভেজ। ম্যাচ শেষে আলভেজ বলছেন, কিছু ‘ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব’ থাকলেও দলগত পারফরম্যান্সের কারণেই জিতেছে পিএসজি, “লিঁও দারুন খেলেছে। আমরা দলীয় পারফরম্যান্সের কারণেই ম্যাচটা জিতেছি। এটা সামনের দিনগুলোতেও করে যেতে চাই। জয়টা আমাদের প্রাপ্যই ছিল।”