• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ইউরোপিয়ান লিগের পঞ্চ-তন্ত্র | পর্বঃ৪

    ইউরোপিয়ান লিগের পঞ্চ-তন্ত্র | পর্বঃ৪    

    ১. সমানে সমান ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাব

    সকালের সূর্য দেখে দিনের আবহাওয়া আন্দাজ করার মতোই ব্যাপারটা। প্রিমিয়ার লিগে ৫ ম্যাচ শেষে ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাবকেই মনে হচ্ছে শিরোপা প্রত্যাশী। মৌসুমে দারুণ শুরু করেও শীর্ষ চারে জায়গা না পাওয়ার ইতিহাসও আছে। তবুও এখন পর্যন্ত খেলার ধরন, দলের শক্তিমত্তা দিয়ে যাচাই করলে হোসে মরিনহো আর পেপ গার্দিওলার লড়াইটাই হচ্ছে সমানে সমান। পয়েন্ট তো বটেই, দুই দলের গোল গড়ও সমান। বর্ণানুক্রমে এগিয়ে ম্যান সিটি আছে শীর্ষ।   

    গার্দিওলার অধীনে আগের বার তেমন সুবিধা করতে না পারলেও নতুন মৌসুমে নিজেকে যেন নতুন করে চেনাচ্ছেন সার্জিও আগুয়েরো। সিটির আক্রমণভাগে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার জুটি বেধেছেন ব্রাজিলিয়ান গ্যাব্রিয়েল হেসুসের সাথে। এই দুজন মিলেই ত্রাস ছড়াচ্ছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণে। শেষ ১৫ ম্যাচে ১১ গোলের সাথে ৪ অ্যাসিস্ট করে আগুয়েরোকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছেন। প্রিমিয়ার লিগে শেষ দুই ম্যাচে সিটি গোল করেছে ১১ বার! সিটির গোলগুলোর পেছনে অবশ্য সবচেয়ে বড় অবদান ফুলব্যাকদের। প্রায় দেড়শ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে কেনা ‘দামী’ ডিফেন্ডাররা গার্দিওলার আস্থার প্রতিদান দিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিতই।




    লিগের এক তৃতীয়াংশও শেষ হয়নি। কিন্তু ম্যানচেস্টারের দুই দল যে চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলছে- তা নিয়ে খুব বেশি বিতর্ক নেই।

    ২. কন্তের প্ল্যান ‘বি’ কই?

    আন্তোনিও কন্তের অধীনে এই প্রথম স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে গোল করতে পারেনি চেলসি। আর্সেনালের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েছিল ঠিকই, কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি। আলভারো মোরাতার বদলি হিসেবে ছিলেন কেবল মিচি বাতসুয়াই। তাকে অবশ্য নামাননি চেলসি কোচ। মোরাতা তার তার সর্বোচ্চটাই দিয়েছিলেন। কেবল গোলই পাননি। তাই আর্সেনালের বিপক্ষে পুরো ম্যাচেই ডিয়েগো কস্তার অভাবটা ভালোই বোধ করেছে চেলসি। নাকি কন্তের প্ল্যান ‘বি’ না থাকাটাই ভুগিয়েছে দলকে?




    ৩. ওয়েম্বলিতে অসহায় টটেনহাম
     
    নতুন ঘরের মাঠে ঠিক সেভাবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না টটেনহাম হটস্পার্সকে। গতবার চ্যাম্পিয়নস লিগেও ওয়েম্বলিতে হোঁচট খেতে হয়েছে তাদের। এবার বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারালেও প্রিমিয়ার লিগে ফিরে এসেছে  টটেনহামের সেই ‘ওয়েম্বলি জুজু’। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ খেলে এখনও জয়ের দেখা পায়নি মারুসিও পচেত্তিনোর দল। অথচ গতবার কোনো ম্যাচই হারেনি হোয়াইট হার্ট লেনে। ৫ ম্যাচে পাওয়া দুইটি জয়ই এসেছে অ্যাওয়ে ম্যাচে।  বড় দলগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে পরের বছর শীর্ষ চারে জায়গা করে নিতে হলে ঘরের মাঠে পুরনো রুপে ফেরত আসতে হবে স্পার্সকে।    




    ৪. লা লিগায় গোল খরা

    লা লিগায় প্রতি সপ্তাহে গোলের অধিকাংশই সাধারণত আসে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনার ম্যাচগুলো থেকেই। তবে এই সপ্তাহ বড় দুই দলের গেছে একটু অন্যরকম। পলিনহোর গোলে শেষ পর্যন্ত জিতেছে বার্সা। রিয়ালের ৩-১ গোলের জয় ছিল না সহজ। অন্য ম্যাচগুলোতেও গোল হয়নি তেমন। সবমিলিয়ে এ সপ্তাহে লা লিগা দেখেছে মাত্র ১৯ গোল!


    ৫. সব আলো দিবালার উপরই

    সিরি আ তে একের পর এক গোল করে যাচ্ছেন পাউলো দিবালা। ইতালিয়ান লিগে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন এখন এই ২৩ বছর বয়সী আর্জেন্টাইনই। আর তাতে ঢাকা পড়েছে নিকোলা কালিচের ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স। এসি মিলানে যোগ দেয়ার পর এই প্রথম গোল পেয়েছেন তিনি। সাম্পাদরিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জেতা ম্যাচে সবচেয়ে বড় অবদানটা তারই। দুই গোলই করেছেন কালিনিচ। আর তাতেই মৌসুমের তৃতীয় জয় পেয়েছে মিলান।