ছেলের কীর্তি দেখে কাঁদলেন কোচ বাবা
লাতসিওর বিপক্ষে ঘরের মাঠে মাত্র ১৩ মিনিটেই পিছিয়ে পড়েছিল জেনোয়া। এর কিছুক্ষণ পর মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে আসে সেঞ্চুরিয়নের ইনজুরি। তার জায়গায় ৩৩ মিনিটে জেনোয়া কোচ মাঠে নামিয়ে দেন ১৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার পিয়েত্রো পেলেগ্রিকে। দলকে জিতিয়ে দেবেন এই আশা বোধ হয় খোদ জেনোয়া সমর্থকেরাও করেননি। পেলেগ্রি শেষ পর্যন্ত জেতাতেও পারেননি। কিন্তু স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন দলকে। এই ম্যাচ দিয়েই ঢুকে গেছেন ইতালিয়ান ফুটবলের ইতিহাসে। আর ছেলের এই কীর্তি সাইডলাইনে দেখেই আবেগে কেঁদেছেন বাবা।
দুই গোল করে হয়ে গেছেন সিরি আর সবচেয়ে কমবয়সী গোলদাতা। দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম গোল করে দলকে সমতায় এনেছিলেন তিনিই। পরে আবারও পিছিয়ে পড়ে জেনোয়া। কিন্তু ৩ মিনিটের ভেতর আবার সেই গোলও শোধ দিয়ে দেন পেলেগ্রি। শেষদিকে আবারও গোল হজম করে অবশ্য ৩-২ ব্যবধানে হারতেই হয়েছে পেলেগ্রির দলকে।
১৬ বছরে পা দিয়েছেন গেল মার্চেই। লাতসিওর বিপক্ষে ম্যাচে ছেলের ইতিহাস গড়ার কীর্তি মাঠে বসেই দেখেছেন পেলেগ্রির বাবা। গ্যালারি নয়, ডাগআউটে বসে! পেলেগ্রি সিনিয়র জেনোয়ার সহকারী কোচ। প্রথম গোলের পরও শান্তই ছিলেন। কিন্তু ছেলের দ্বিতীয় গোল দেখে আর ধরে রাখতে পারেননি নিজেকে। ডাগ আউটে বসেই চোখের পানি মুছেছেন!
ম্যাচশেষেও পেলেগ্রি জানিয়েছেন রাতটা তাদের দুজনের জন্যই ছিল অন্যরকম। ডাগ আউটে বাবার সামনে রেকর্ডটা হওয়ায় সেটা নিয়ে আরও বেশি গর্বিত তিনি।