• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    কুতিনহোর 'ফেরায়' অবশেষে লিভারপুলের জয়

    কুতিনহোর 'ফেরায়' অবশেষে লিভারপুলের জয়    

    গ্রীষ্মকালীন দলবদলের বাজারে তাকে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। বার্সায় পাড়ি জমানোর জন্য লিভারপুলের হয়ে খেলতে চাননি- এমন গুঞ্জনও ডালপালা ছড়িয়েছিল বেশ। কিন্তু শেষমেশ আর মেসি, সুয়ারেজদের সাথে খেলার স্বপ্নটা পূরণ হয়নি তার, থেকে যেতে হয়েছে লিভারপুলেই। লেস্টার সিটির বিপক্ষে আজ ফিলিপ কুতিনহো আবারও প্রমাণ করলেন, কেন তাকে দলে ভেড়াতে রীতিমত আদা জল খেয়ে নেমেছিল বার্সা। সাবেক ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে ৩-২ গোলের জয় পেয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। লিভারপুলের হয়ে গোল করেছেন কুতিনহো, মোহাম্মদ সালাহ এবং জর্ডান হেন্ডারসন। লেস্টারের হয়ে লক্ষ্যভেদ করেছেন জেমি ভার্ডি এবং শিনজি ওকাজাকি। চার ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল লিভারপুল। 

     

    এই লেস্টারের কাছে হেরেই গত সপ্তাহে কারাবাও কাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল লিভারপুল। ম্যান সিটির বিপক্ষে লাল কার্ড পাওয়া সাদিও মানের অনুপস্থিতিতে আজ কুতিনহোর দিকেই তাকিয়ে ছিল লিভারপুল। সমর্থকদের হতাশ করেননি এই ব্রাজিলীয়ান। ১৫ মিনিটে তার ক্রসে হেড করেই গোলের সূচনা করেছিলেন সালাহ। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ঠাসা ম্যাচে প্রথম সুযোগটা অবশ্য পেয়েছিল লেস্টারই। প্রতি আক্রমণে ওকাজাকির পাস থেকে ভার্ডির শট রুখে দেন লিভারপুল গোলরক্ষক সিমন মিনিওলে। তবে সালাহর গোলের পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় লিভারপুল। ২২ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে দর্শনীয় এক ফ্রিকিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কুতিনহো। প্রথমার্ধেই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ায় সহজ এক জয় পেতে যাচ্ছে লিভারপুল- আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছিল এমনটাই। কিন্তু প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে মিনিওলের ভুলে ওকাজাকির গোলে ম্যাচে ফেরে লেস্টার। গোলের পর ডাগআউটে ক্লপের ক্ষোভ বলে দিচ্ছিল, রক্ষণটা এখনো মাথ্যব্যথা হয়ে  আছে লিভারপুল কোচের কাছে।

     

    ওকাজাকির গোলে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া লেস্টার দ্বিতীয়ার্ধটাও শুরু করেছিল আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে। কিন্তু ৬৭ মিনিটে দারুণ এক প্রতি আক্রমণে ড্যানিয়েল স্টারিজের পাস থেকে ম্যাচে লিভারপুলের তৃতীয় গোল করেন অধিনায়ক হেন্ডারসন। কিন্তু লেস্টারও যেন নাছোড়বান্দা। হেন্ডারসনের গোলের পরপরই ৬৮ মিনিটে ডেমারাই গ্রের শট মিনিওলে রুখে দিলেও ফিরতি বলে হেড করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন ভার্ডি।

    এর মিনিট দুয়েক পর লেস্টারকে আবারও ‘লাইফলাইন’ এনে দেন মিনিওলে। জো গোমেজের ব্যাকপাস নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে ভার্ডিকে ডিবক্সে ফেলে দেন এই বেলজিয়ান কিপার। পেনাল্টি পায় লেস্টার। কিন্তু ১২ গজ থেকে ভার্ডির শট ঠেকিয়ে ‘পাপমোচন’ করেন মিনিওলে। ৭৪ মিনিটে আসে ম্যাচের আরেক বিতর্কিত মূহূর্ত। গ্রের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল এমরে চানের হাতে লাগলেও পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি রেফারি। দ্বিতীয়ার্ধের বাকিটা সময় শত চেষ্টা করেও সমতায় ফিরতে পারেনি লেস্টার। শেষ বাঁশির পর ক্লপের উল্লাসই জানান দিচ্ছিল, আজকের জয়টা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল লিভারপুলের জন্য...