নাদালকে কোলে নিয়েই লেভার কাপ উদযাপন ফেদেরারের
প্রথম দুই দিনের ৮ ম্যাচে ৬ জয়, পয়েন্টের ব্যবধান ৬। শিরোপার খানিকটা সুবাস পাচ্ছিল টিম ইউরোপ। অন্যদিকে নাদাল-ফেদেরারের নৈপুণ্যের ভারে অনেকটাই কোণঠাসা টিম ওয়ার্ল্ড। কিন্তু শেষদিনে পাশার দান প্রায় উল্টে দিয়েছিলেন জন ইসনার। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ফেদেরারের বাজিমাতে লেভার কাপ জিতে নিয়েছে টিম ইউরোপই।
গেলো ২ দিনের মত দিনের শুরুটা সিঙ্গেলস দিয়ে হয়নি। ডাবলস ম্যাচে স্বদেশী জ্যাক সকের সাথে জুটি বেঁধে ইউরোপের চিলিচ-বার্ডিচ জুটিকে ৭-৬, ৭-৬ সেটে হারান ইসনার। পয়েন্টের ব্যবধান তখন মাত্র ৩ (৯-৬)। কিন্তু টেনিসের নতুন দিনের তারকা সাশা জেভেরেভ-ই বা বাদ থাকবেন কেন? ২০ বছরের দুরন্ত জার্মানের সাথে পেরে ওঠেননি আমেরিকার স্যাম কুয়েরি। ৬-৪, ৬-৪ সেটে ম্যাচ জিতে নিয়ে ইউরোপকে একদম শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন এই তরুণ।
তৃতীয় ম্যাচে বিশ্বের এক নম্বর তারকা রাফায়েল নাদাল যখন কোর্টে নামছেন, তখন ইউরোপ লেভার কাপে হাত দিয়ে ফেলেছে – এমনটাই ধরে নিয়েছেন সবাই। কিন্তু দৃশ্যপটে আবার হাজির ইসনার! আমেরিকানের দুর্দান্ত সব সার্ভ-ভলিতে ৩ দিনে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামা খানিকটা ক্লান্ত নাদাল ঠিক জ্বলে উঠতে পারেননি। ৭-৫, ৭-৬ সেটে লাল মাটির রাজাকে হারিয়ে লড়াইটা জমিয়ে তোলেন প্রায় ৭ ফুট লম্বা ইসনার।
নাদাল পারলেন না। ফেদেরার কি পারবেন? প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা নিক কিরিয়স। ফেদেরার যখন ৪-৬ গেমে প্রথম সেট হেরে বসলেন, মনে হচ্ছিল - এক সেটের চ্যাম্পিয়নশিপ টাইব্রেকারেই নিষ্পত্তি হবে শিরোপা। কিন্তু বুড়ো হাড়ের ভেলকির দেখা মিললো আরেকবার। দ্বিতীয় সেট টাইব্রেকারে জিতলেন ফেদেরার। এরপর ১০ পয়েন্টের ম্যাচ টাইব্রেক। সার্ভে দুবার ডাবল ফল্ট করে ৩-৬ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিলেন সুইস মাস্টার। দুর্দান্ত কামব্যাক করলেন আরেকবার। শেষতক ১১-৯ পয়েন্টে কিরিয়সকে হারিয়ে নিশ্চিত করলেন লেভার কাপের শিরোপা থাকছে ইউরোপেই। তবে দিনের সেরা মুহূর্তের দেখা মিলেছে তারপরেই। শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাসে ফেদেরারের কোলে উঠে নাদালের সুইস তারকাকে জড়িয়ে ধরা ছবিটা টেনিসপ্রেমীদের চোখে ভাসবে অনেকদিন!