• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চতন্ত্রঃ নতুন করে চেনাচ্ছেন সিটির গার্দিওলা

    প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চতন্ত্রঃ নতুন করে চেনাচ্ছেন সিটির গার্দিওলা    

    ১. নিজেকে নতুন করে চেনাচ্ছেন সিটির গার্দিওলা

    প্রিমিয়ার লিগে শেষ তিন ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির গোল সংখ্যা ১৬! ইংল্যান্ডে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে পরপর তিন ম্যাচে অন্তত ৫ গোল করার রেকর্ডটা অনেক আগের। ১৯৫৮-১৯৫৯ মৌসুমে ব্ল্যাকবার্নের পর আর কোনো ক্লাব করে দেখাতে পারেনি এমনটা।

    আগের সপ্তাহে বর্ণানুক্রমিকভাবে এগিয়ে থাকলেও এবার তাই গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শীর্ষে ম্যান সিটি। প্রতি ম্যাচে সিটির এমন গোল উৎসব মনে করিয়ে দিচ্ছে বার্সেলোনা আর বায়ার্ন মিউনিখের গার্দিওলাকে।

    ফ্রাংক ডি বোয়ের পর রয় হজসনের ক্রিস্টাল প্যালেসও পথ হারিয়ে খুঁজছে। এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে কোনো গোলই করতে পারেনি তারা। প্যালেসের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তাই সিটির জয়টা অনুমিতই ছিল। তবে ম্যাচটা আলাদা নজর কেড়েছে গার্দিওলার কৌশল জন্য। তার পছন্দের ৪-৩-৩ ফর্মেশনে যেন আরও অপ্রতিরোধ্য সিটি।



    কেভিন ডি ব্রুইনাকে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার  থেকে অনেকটা নিচে খেলিয়েছেন গার্দিওলা। নতুন ভূমিকায় এই বেলজিয়ান খেলছেনও ভালো। প্যালেসের বিপক্ষে গার্দিওলা পরিবর্তন এনেছিলেন আরও একটি। গ্যাব্রিয়েল হেসুসের বদলে খেলতে নামা লিরয় সানেও গোল পেয়েছেন ম্যাচে।



    ২. বার্তা  দিলমোরাতার চেলসি

    স্টোক সিটির মাঠে তাদের কাছে পয়েন্ট হারিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর্সেনালকে তো হারিয়েই দিয়েছিল তারা। সেই স্টোক পাত্তাই পায়নি চেলসির কাছে। আগের সপ্তাহে আর্সেনালের সাথে হতাশাজনক গোলশূন্য ড্রয়ের পর ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে চেলসি।

    আন্তোনিও কন্তের দলকে আসলে পথে ফিরিয়ে এনেছেন আলভারো মোরাতা। স্টোকের সাথে মাত্র ২ মিনিটেই কাজটা শুরু করেছিলেন, গোল করে। কাজটা তখনই সহজ করে দিয়েছিলেন মোরাতা। এরপর বাকি সময়ে পূরণ করেছেন হ্যাটট্রিক। বিশেষ করে মোরাতার দ্বিতীয় গোলটি বাকি দলগুলোর জন্য অশনী সংকেতই। এডেন হ্যাজার্ডের সাথে তার জুটিটাই এই মৌসুমে চেলসির পথরেখা এঁকে দিতে পারে। 


    ৩. পগবার অভাব স্পষ্ট 

    সেন্ট মেরিস স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষের পর রোমেলু লুকাকুর উদযাপনটাই আসলে বলে দিয়েছে ম্যাচে জিততে কতোটা কষ্ট করতে হয়েছে ম্যান ইউনাইটেডকে। এক গোলের জয় নিশ্চিত করতে ম্যাচের একটা সময়ে হোসে মরিনহোকে খেলাতে হয়েছে ৫ জন ডিফেন্ডার। দ্বিতীয়ার্ধে তেমন আক্রমণেই যেতে পারেনি তার দল। উলটো সাউদাম্পটনই তাদেরকে শেষ দিকে ব্যস্ত রেখেছিল একের পর আক্রমণ করে। ইউনাইটেড মিডফিল্ডের নড়বড়ে দশাই ছিল আসল কারণ। পল পগবার অনুপস্থিতিতে এভারটনকে হারানো গেলেও পরের ম্যাচেই তার অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে রেড ডেভিলরা।


    ৪. নতুন নায়কেই রক্ষা রিয়ালের

    দানি সেবায়োসকে দলে ভেড়ানোর পর স্প্যানিশ ফুটবলবোদ্ধাদের অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় খেলার সুযোগ পাবেন কি না তাই নিয়েই সন্দেহ ছিল তাদের। সেই সুযোগটা সেবায়োস পেয়ে গিয়েছিলেন আলাভেসের বিপক্ষে। উলটো পথে হাঁটতে থাকা রিয়ালকে ফিরিয়ে এনেছেন তিনিই। দুই গোল করে জিতিয়েছেন ম্যাচ।

    তারকা ঠাসা দলে তার জায়গাটা যে নিয়মিত হবে না সেটা জেনেই এসেছিলেন রিয়ালে। সেবায়োস চাইলেই ইস্কোর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজতে পারেন। অনেকদিন দলে থাকার পর এই বছর থেকেই একাদশে নিয়মিত হয়েছেন ইস্কো। তাঁর সামর্থ্য আর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল না কখনই। সেবায়োসের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। দলে নিয়মিত জায়গা পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।

    এর মাঝে পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে তাকে। আর তাতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন আসলে জিনেদিন জিদানই। দলের গভীরতা আরও বাড়ল রিয়াল কোচের। সময়টা আপাতত খুব ভালো না গেলেও, ভবিষ্যতটা ভালো মনে হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের।



    ৫. জুভেন্টাস-নাপোলি সমানে সমান

    এই মৌসুমের সিরি আ যেন আগের সব বারের চেয়ে একটু আলাদাই। মৌসুম শুরুর পর ৬ টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে সব দল। একই সময়ে সম্মিলিতভাবে এতো বেশি গোল আগে দেখেনি ইতালিয়ান ফুটবল।

    শীর্ষস্থানের লড়াইটা আরও জমজমাট। সবগুলো ম্যাচই জিতেছে জুভেন্টাস ও নাপোলি। শীর্ষে থাকা দুই দলের এমন রেকর্ডও এবারই প্রথম। পাউলো দিবালা জুভেন্টাসের হয়ে গোল করে চলেছেন। কিন্তু নাপোলি কিন্তু ছুটছে আরও জোর গতিতে। গোল গড়ে এগিয়ে থেকে তুরিনের বুড়িদের টপকে তাই শীর্ষস্থানটা আছে নাপোলির দখলে।