'হাতে গোনা কয়েকজনের বাংলাদেশের সাফল্য চোখে পড়ে না’
গঠনতন্ত্র নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই চাপান উতোর চলছে বিসিবিতে। বিসিবির ২ অক্টোবরের এজিএম ও ইজিএমের ডাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার বিসিবির সাবেক পরিচালক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রিট করেছিলেন। সেই রিটের পর আজ আপিল বিভাগ জানিয়েছে, বর্তমান কমিটির এজিএম-ইজিএম করতে বাধা নেই। সেটার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেহেন, তারা নিয়ম অনুযায়ীই সবকিছু করবেন। তবে তিনি বলেছেন, রিট আবেদনকারীদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না। এইসব পদক্ষেপে বাংলাদেশের ক্রিকেটের খারাপ ছাড়া ভালো কিছু হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেছেন।
বিসিবির গঠনতন্ত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালে রিট করেছিলেন মোবাশ্বের হোসেন। ২০১৩ সালে হাইকোর্ট ওই সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। পরে বিসিবি সেটির বিরুদ্ধে আপিলও করে। আপিল বিভাগ শেষ পর্যন্ত এই সংশোধনী কেন বৈধ হবে না, সেটাও জানতে চেয়েছেন। যার মানে ২ অক্টোবর এজিএম হতে আইনগতভাবে কোনো বাধা নেই।
কিন্তু সাবেক কমিটির সঙ্গে এই জটিলতাটা কি আলোচনার মাধ্যমে সারা যেত না? বিসিবি সভাপতি আদর্শগত কারণেই এখানে কোনো সুযোগ দেখছেন না। নাম না উল্লেখ করেই সাতজনের দিকে আঙুল তুলেছেন, ‘একটা ব্যাপার পরিষ্কার, বাংলাদেশে গত চার বছরে উনাদের চোখে খারাপ ছাড়া ভালো কিছু হয়নি। হাতে গোণা কয়েকজন মানুষ, হিসেব করে বললে সেটা সাত জন। একটা কোনো ঘটনায় কোনো সাফল্য তারা অভিনন্দন জানায়নি। যেখানে সারা বাংলাদেশে সবাই ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কিন্তু উনাদের কোনো সাফল্য চোখে পড়েনি। যাদের সঙ্গে মতের এখন এতো অমিল, তাদের সঙ্গে কীভাবে বোঝাপড়া হবে? এখন বাংলাদেশ খারাপ করলে তাদের চেয়ে বেশি খুশি আর কেউ হবে না।’
পুরো ব্যাপারটাতে ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থে কোনো লাভও দেখছেন না পাপন, ‘এটার পজিটিভ কোনো দিক নেই। এটা করে লাভ নেই। এশুধু ক্ষতির সম্ভাবনাই আছে। এখন পর্যন্ত আদালত থেকে যা নির্দেশনা এসেছে তাতে আমাদের কোনো কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে না। একটা সাধারণ ব্যাপার, এখানে কোনো বিপত্তি হলে সেটার ফল কী হবে আমি বলে দিয়েছি। এখন আদালত যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটা নিয়ে চলব। আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে তো কথা বলা যায় না। ’
কিন্তু সামনের অক্টোবরেই তো বিসিবির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তার আগে নির্বাচন না হলে বোর্ডের কার্যক্রম কীভাবে চলবে? পাপন এমন প্রশ্নের জবাবেও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি, ‘এখনও কোনো স্পেসিফিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি। আগে আমাদের কাছে অগ্রাধিকার হচ্ছে এজিএম-ইজিএম করা। করে আমাদের একটা বৈধ গঠনতন্ত্র দরকার। এখানটায় নির্বাচনের একটা তারিখ দিতে হবে। দিতে গেলে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। কাউন্সিলরদের তালিকা চাইতে হবে। প্রত্যেকটার তো সময় আছে। গঠনতন্ত্রে নিশ্চয়ই বলা আছে কতদিদের মধ্যে দিতে হবে। এগুলো সব মেনে সে অনুযায়ী আমরা করবো। যদি দেখি গঠনতন্ত্রে যে সময় দেওয়া আছে এর বাইরেও সময় লাগছে অবশ্যই আমরা আইনজীবীদের সাহায্য নেব। এই মুহূর্তে কিছু বলাটা কঠিন।’
বোঝাই যাচ্ছে, বিসিবির নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতা খুব শিগগিরই কাটছে না।