ইউনাইটেডের জয় মানেই চার গোল
১৭-১৮ প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জয়রথ ছুটছেই। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ডেভিড বেকহামের উপস্থিতিতে টেবিলের একেবারে তলানিতে ধুঁকতে থাকা ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে হোসে মরিনহোর দল। রোমেলু লুকাকু, হুয়ান মাতারা গোল পেলেও আজ ‘রেড ডেভিল’দের মূল তারকা ছিলেন মারুয়ন ফেলাইনি। জোড়া গোল করে দলের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদানটা রেখেছেন এই বেলজিয়ানই। এই মৌসুমে ছয়বারের মতো সব প্রতিযোগিতা মিলে প্রতিপক্ষের চার গোল দিল ইউনাইটেড।
ইঞ্জুরিতে পড়ায় আজ খেলবেন না লুকাকু- এমন সংবাদে আজ সরগরম ছিল চারদিক। কিন্তু ইউনাইটেড সমর্থকদের সেই আশঙ্কাকে দূর করে ঠিকই মূল একাদশেই নেমেছিলেন প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা। বেশকিছু সুযোগ হাতছাড়া করার পর ৮৬ মিনিটে যখন বহুল প্রতীক্ষিত গোলটা পেলেন, ততোক্ষণে অবশ্য লেখা হয়ে গেছে ম্যাচের ভাগ্য।
ম্যাচের মাত্র ৩ মিনিটেই বাঁ-প্রান্ত থেকে মার্কোস রাশফোর্ডের দারুণ মাইনাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন মাতা। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত গোল করতে পারেনি প্যালেস। আজকের পর গোল না করা ম্যাচের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতে! প্রথমার্ধের একবারও ডেভিড ডি গেয়াকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি তারা। এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর তাই ম্যাচটা আরও সহজ হয়ে যায় ইউনাইটেডের জন্য। দ্বিতীয়ার্ধের আগেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফেলাইনি। ৩৫ মিনিটে বাঁ-প্রান্ত থেকে অ্যাশলি ইয়ং-এর দারুণ ক্রসে পা ছুঁয়ে দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি।
প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করে ম্যাচ প্যালেসের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান সেই ফেলাইনিই। আবারও সেই বাঁ-প্রান্ত থেকেই রাশফোর্ডের ফ্রিকিকে হেড করে শেষ চার হোম ম্যাচে নিজের চতুর্থ গোল করেন ফেলাইনি।
এর কিছুক্ষণ পরেই আসে ম্যাচের বিতর্কিত মূহূর্ত। ডিবক্সে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার ক্রিস স্মলিংয় প্যালেসের জেফ্রি শ্লুপকে ফেলে দিলেও পেনাল্টি আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা গুছিয়ে খেললেও গোলের দেখাটা আর পাওয়া হয়নি। ৮৬ মিনিটে নিজের ‘রুটিন’ গোল করে প্যালেসের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন লুকাকু। আজকের পর ইউনাইটেডের হয়ে অ্যান্ড্রু কোলের প্রথম ৭ প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে ৭ গোলের রেকর্ডে ভাগ বসালেন এই বেলজিয়ান। ০৯-১০ মৌসুমে পোর্টসমাউথের পর প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রথম সাত ম্যাচের সাতটিতেই হারের স্বাদ পেল প্যালেস।