ওয়েঙ্গারের 'একুশে' জিতল আর্সেনাল
আর্সেনালে আসার ২১ তম বছরটা জয় দিয়েই উদযাপন করলেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। গুরুর বর্ষপূর্তির দিনে এমিরেটসে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ আলবিওনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। ব্রাইটনকে হারিয়ে ওয়েঙ্গার নিজেও ছুঁয়েছেন নতুন এক মাইলফলক। প্রিমিয়ার লিগে মোট ৪৫ টি দলের বিপক্ষে জিতেছেন আর্সেনাল ম্যানেজার। এর চেয়ে বেশি দলকে হারাতে পারেননি অন্য কোনো ম্যানেজার।
গত মাসে খেলা ৬ ম্যাচের একটিতে ড্র করলেও, বাকি সবগুলোতেই জিতেছিল আর্সেনাল। সেপ্টেম্বরের ভালো ফর্মটা টেনে আনল এই মাসেও। ব্রাইটনের বিপক্ষে গোল করেছেন নাচো মনরিয়েল ও অ্যালেক্স ইওবি। আজকের পর চেলসির সমান ১৩ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে আছে ওয়েঙ্গারের দল।
১৬ মিনিটে আর্সেনালকে প্রথম ম্যাচে এগিয়ে দিয়েছিলেন নাচো মনরিয়েল। গ্রানিত শাকার নেয়া ফ্রি কিক গোললাইনের বাইরে দিয়েই যাচ্ছিল। অ্যালেক্সান্ডার লাকাজেত সেখান থেকে হেড করে বল পাঠান ডিবক্সের ভেতর। প্রথম চেষ্টায় গোল করতে পারতেন শর্কদান মুস্তাফি। কিন্তু তার শট ব্রাইটনের রক্ষণে বাধা পেয়ে বল পান মনরিয়েল। সেখান থেকেই গোল করেন তিনি।
প্রথমেই পিছিয়ে গেলেও অবশ্য ব্রাইটন ইঙ্গিত দিচ্ছিল ম্যাচে ফিরে আসার। ডিবক্সের বাইরে থেকে নেয়া সলি মার্চের শট বারপোস্টে লেগে ফেরত না আসলে সমতায় ফিরতে পারত তারা। ফলে এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্সেনাল।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুটা ভালো করে আর্সেনাল। কোলাসিনাচের ক্রস থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন অ্যারন রামসে। কিন্তু দলকে দুই গোলের লিড এনে দিতে ব্যর্থ হন তিনি। গোল আর আর রামসের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ান ব্রাইটন গোলরক্ষক ম্যাথিউ রায়ান। এরপর অবশ্য আরও বেশ কয়েকবারই দলকে বাঁচিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষক। তবে ৫৬ মিনিটে গোলহজম করে তার আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছিল ব্রাইটন। দারুণ এক আক্রমণ থেকে আর্সেনালকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ইওবি। অ্যালেক্সিস সানচেজের ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে জোরালো শটে গোল করেন তিনি।
এর কিছুক্ষণ পরই সানচেজ নিজেও পেতে পারতেন গোল। গোললাইন থেকে দুবার বল ক্লিয়ার না হলে আরও ব্যবধানেই জিততে পারত আর্সেনাল। প্রথমে সানচেজকে গোলবঞ্চিত করেন লুইস ডাংক।এরপর কোলাসিনাচের হেড ক্লিয়ার করেন মার্চ। শেষদিকে অবশ্য ব্রাইটনও কিছু সুযোগ পেয়েছিল, তবে এমিরেটসে আর গোল করা হয়নি তাদের।