বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্তে অবাক নেইমারের বাবাও
বাবাই মূলত তাঁর এজেন্ট, দেখভালের সবকিছুই করেন তিনি। সান্তোসের সঙ্গে চুক্তিতে দুর্নীতির জন্যও তাঁর দিকে এসেছে তীর। নেইমার সিনিয়র তাঁর ছেলের ব্যাপারে একটু বেশি মাথা ঘামান, এমন অভিযোগও উঠেছে। তবে ছেলের বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত অবাক করেছিল তাঁকেও।
‘নেইমারের প্যারিসে আসার সিদ্ধান্ত আমাকে অবাক করেছিল। গত বছরই তাদের কাছ থেকে আমরা প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু তখন আর চুক্তিটা হয়নি। তবে এবার তাদের দেয়া চুক্তিটা ছিল আরও আকর্ষনীয়। চ্যাম্পিয়নস লিগ আর লিগ জয়ের সম্ভাবনাই নেইমারকে বেশি টেনেছে।
সত্যি বলতে আমিই শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত দ্বিধায় ছিলাম। আমি নেইমারকে বলেছিলাম যে ‘তুমি’ তো এখানে ভালোই আছ। এটাই তোমার জন্য সুবিধাজনক জায়গা। তোমার জন্য এখানে থেকে যাওয়াই ভালো হবে। কিন্তু নেইমার নিজেকে সেখান থেকেই বের করতে চেয়েছে, ঝুঁকি নিতে চেয়েছে‘ - বার্সা থেকে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে যোগ দেয়ার আগে ছেলের সাথে নিজের কথোপকথন তুলে ধরেছেন নেইমার সিনিয়র।
বাবার মতো তার বন্ধুরাও নেইমারকে বার্সাতে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ, জেরার্ড পিকে, ইভান রাকিতিচরা সবাই মিলে বোঝানোর পরও নতুন চ্যালেঞ্জটাই বেশি টেনেছে নেইমারকে। ব্যালন ডি’অর জেতার হাতছানি এই চুক্তিতে কোনোভাবেই প্রভাব ফেলেনি, দাবি করলেন তাও।
‘আমার মনে হয় না সে নিজেও সবকিছুর বিনিময়ে বর্ষসেরা খেতাব জিততে চায়। লক্ষ্য যদি সেটাই হত তাহলে বার্সাতেই থেকে যেত সে। কারণ সেখানে বর্ষসেরা হওয়ার মতো সবরকম সুবিধাই পেত নেইমার’।
মেসি, সুয়ারেজদের সাথে যেভাবে জুটি গড়েছিলেন নেইমার, নতুন ক্লাবে এডিনসন কাভানি ও কিলিয়ান এমবাপ্পের সাথেও একই রকম কিছু করে দেখাবেন বলে বিশ্বাস নেইমার সিনিয়রের। তবে পেনাল্টি কিক নেয়া নিয়ে কাভানি-নেইমারের দ্বন্দ্বটা বড় করে দেখছেন না, ‘একই সাথে খেললে এমনটা হতেই পারে। এটা কোন বড় ঘটনা নয়। বায়ার্ন মিউনিখের সাথে ম্যাচটাই তার প্রমাণ। মিডিয়াই টেনে এই ঘটনা বড় করেছে। এটা নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন নেই’।