পুরুষের ক্রিকেটে এবার মহিলা আম্পায়ার
এই মৌসুমেই জার্মান বুন্দেসলিগায় প্রথম মহিলা রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ইতিহাস গড়েছেন বিবিয়ানা স্টেইনহস। এবার ক্রিকেটেও ঠিক একইরকম ইতিহাসের সূচনা করতে যাচ্ছেন এক অস্ট্রেলিয়ান মহিলা আম্পায়ার। প্রথম মহিলা আম্পায়ার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া লিগের প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে দায়িত্ব পালন করবেন ক্ল্যায়ার পোলোসাক।
কখনোই পেশাদার ক্রিকেট খেলেননি। তাহলে আম্পায়ার হওয়ার ভূত মাথায় চাপলো কিভাবে? ২৯ বছর বয়সী পোলোসাক জানাচ্ছেন, ব্যাট-বল হাতে না নামলেও ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহের কোনো কমতি ছিল না, “ আমি কখনোই ক্রিকেট খেলিনি। এতে অনেকেই অবাক হতে পারেন। তবে ক্রিকেট সবসময়ই আমার পছন্দের খেলা ছিল, খোঁজখবর রাখতাম। এরপর আমার বাবা আমাকে আম্পায়ারের কোর্সে ভর্তি করিয়ে দেন। আমি খুব করে চাইতাম এই পেশায় ভালো কিছু করে দেখাতে।”
একজন মেয়ে হিসেবে এই পেশায় এগিয়ে যাওয়াটা সহজ ছিল না বলেই মানছেন পোলোসাক, “অন্যদের চেয়ে হয়ত আমাকে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে। তবে এতে আনন্দই পেয়েছি। আমার মেধা দিয়ে যতটুক আগানো যায় ওতেই আমি খুশি ছিলাম। এটা দিয়েই আমি সামনের দিকে এগোতে চাই।”
ফুটবলের মাঠে তো পুরুষ খেলোয়াড়দের নানা ব্যাঙ্গ বিদ্রূপ শুনতে হয়েছে মহিলা রেফারিদের। তার সাথেও কি এমন কিছু হয়েছে কখনো? পোলোসাক বলছেন, সবাই তাকে অনেক বেশি সম্মান দেখিয়েছে, “আমাকে কখনোই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি যেটা আমি সামলাতে পারতাম না। সবাই অনেক সাহায্য করেছে, সাহস জুগিয়েছে। সবার পাশে থাকার ফলেই আমি এতদূর এসেছি।”
এরই মাঝে আইসিসির মহিলা বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। ২০১৫-১৬ মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটের পুরুষদের একটি ম্যাচে তৃতীয় আম্পায়ারও ছিলেন। আগামী রবিবার নিউ সাউথ ওয়েলস ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশের ম্যাচে দায়িত্ব পালন করবেন পোলোসাক। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডও পোলোসাকের এই অর্জনে আনন্দিত, “এত অল্প সময়ে তার এই অর্জন সত্যিই প্রশংসনীয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির আম্পায়ারদের মাঝে তিনি একজন। এটা ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে। আমরা তাকে শুভকামনা জানাচ্ছি।”
৮ অক্টোবর যখন সিডনির হাস্টবিলে বাউন্ডারি লাইনের ভেতরে পা রাখবেন পোলোসাক, শুরু হবে ক্রিকেটের নতুন এক অধ্যায়।