'জনসন-২' হতে চান স্টার্ক
২০১৩-১৪ মৌসুমের অ্যাশেজে আগুন ঝরানো বোলিংয়ে একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড ব্যাটিং লাইনআপ। ঘরের মাটিতে মিচেল জনসনের সেই বিধ্বংসী বোলিংয়ের কল্যাণেই সেবার ইংলিশদের ধবলধোলাই করে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করেছিল অজিরা। মিচেল স্টার্ক বলছেন, এবারের অ্যাশেজেও অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের সামলাতে হিমশিম খাবেন রুট-কুকরা।
ইনজুরির কারণে বেশ কয়েকমাস ধরেই মাঠের বাইরে আছেন স্টার্ক। তবে অ্যাশেজের আগেই সুস্থ হয়ে দলে ফিরবেন এমনটাই আশা করছেন সবাই। স্টার্ক মনে করেন, দলের বর্তমান পেস বোলাররা মাঠে গতির ঝড় তুলবেন, “আমাদের দুর্দান্ত একটা বোলিং লাইনআপ আছে। আমি যদি নাও খেলতে পারি তাও কামিন্স ও হ্যাজলউডের মত বোলাররা থাকবে। কামিন্স গতির ঝড় তুলবে, হ্যাজলউড একই লাইন লেন্থে বল করে যাবে। তাদের সাহায্য করার জন্য বার্ড ও কোল্টার নাইলও আছে। চার বছর আগে যেভাবে জনসন তার উইকেট নিয়েছিল, এবারও সেরকম কিছুই হবে। দলের জয়ে পেসাররাই বড় ভূমিকা রাখবে।” তবে অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিং একটা ধাক্কা খেয়েছে অ্যাশেজের আগে, চোটের জন্য অ্যাশেজ খেলা হবে না জেমস প্যাটারসনের।
রুট-কুক ছাড়া টপ অর্ডারের বাকিদের অনভিজ্ঞতা ভালোই ভোগাবে ইংল্যান্ডকে, মনে করছেন স্টার্ক, “রুট ও কুক অনেকদিন ধরেই খেলছে, তাদের অভিজ্ঞতাও অনেক। ব্যাটিংয়ে তারাই দলের মূল ভরসা। তাদের দুজনকে দ্রুত ফেরাতে পারলেই আমরা ভালো কিছু করতে পারব।”
নিষেধাজ্ঞার কারণে বেন স্টোকসের অস্ট্রেলিয়া সফর অনেকটাই অনিশ্চিত। তবে স্টোকসকে ছাড়াও ইংল্যান্ডের সাথে লড়াইটা সমানে সমান হবে বলেই মানছেন স্টার্ক, “সে দলের ভেতর একটা ভারসাম্য আনে। কিন্তু তার মানে এই না যে স্টোকস না থাকলেই ইংল্যান্ড দুর্বল। তাদের দলে অনেকেই আছে যাদের নিয়ে ভাবতে হবে।”