শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে যা করতে হবে
প্যারাগুয়ে শেষ মুহূর্তে ঘুরে না দাঁড়ালে তখনই বড় একটা ধাক্কা খেতে পারত আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্বপ্ন। শেষ পর্যন্ত তা বেঁচে আছে, তবে প্লে অফ খেলতে হলেও ইকুয়েডরকে হারাতেই হবে। একটাই সান্ত্বনা, এখনো আর্জেন্টিনার ভাগ্য নিজেদের হাতেই আছে। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ রাউন্ডে অন্য ম্যাচগুলোর সমীকরণ কেমন? দেখে আসা যাক এক নজরে:
উরুগুয়ে- বলিভিয়া
উরুগুয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে আছে। বলতে গেলে রাশিয়ায় তারা চলেই গেছে, শেষ ম্যাচে ড্র হলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে। হারলেও সমস্যা নেই, শুধু আর্জেন্টিনা ইকুয়েডরকে ১১ গোলে হারাতে না পারলেই তারা বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলবে। ইএসপিএনের হিসেবে, তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত। বলিভিয়া এর মধ্যেই বাদ পড়েছে।
প্যারাগুয়ে-ভেনেজুয়েলা
প্যারাগুয়ের হিসেব নির্ভর করছে অনেক যদি-কিন্তুর ওপর। নিজেদের তো জিততেই হবে, সেই সঙ্গে তাদের কামনা করতে হবে আর্জেন্টিনা, পেরু ও চিলিও যাতে হারে। অথবা দুই গোলের ব্যবধানে জিতলেই চলবে তাদের, সেক্ষেত্রে আর্জেন্টিনাকে হারের সাথে পেরু-কলম্বিয়া ম্যাচ ড্র হলেও চলবে। ভেনেজুয়েলা বাদ পড়েছে এর মধ্যেই।
ব্রাজিল-চিলি
ব্রাজিল এর মধ্যেই উঠে গেছে বিশ্বকাপে। চিলির একটা জয় বা ড্র দরকার। ড্র হলে কামনা করতে হবে পেরু-কলম্বিয়ার ম্যাচও যেন ড্র হয়। ইএসপিএনের হিসেবে, চিলির ওঠার সম্ভাবনা ৫২ শতাংশ।
ইকুয়েডর- আর্জেন্টিনা
যে কোনো সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে হলে আর্জেন্টিনাকে জিততেই হবে। আর্জেন্টিনা জিতলে আর পেরু-কলম্বিয়া ড্র হলে আর্জেন্টিনা চলে যাবে সরাসরি। আর পেরু বা কলম্বিয়ার কেউ ড্র করলে খেলতে হবে প্লে অফ। ইকুয়েডর বাদ এর মধ্যেই। ইএসপিএনের হিসেবে, আর্জেন্টিনার ওঠার সম্ভাবনা ৪৭ শতাংশ।
পেরু-কলম্বিয়া
যে জিতবে সেই চলে যাবে সরাসরি। ম্যাচ ড্র হলে আর আর্জেন্টিনা হারলে কলম্বিয়া সরাসরি চলে যাবে বিশ্বকাপে।