শেষ ম্যাচের সঙ্গে সিরিজও হারলো যুবারা
পঞ্চম যুব ওয়ানডে, সিলেট
আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ২৩৯/৬, ৫০ ওভার (ইব্রাহিম ৮৩, রসুল ৭৫, নাইম ২/৩৮, হাসান ১/৪১)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ২০৬ অল-আউট, ৪৮.২ ওভার (হৃদয় ৯৩, সাইফ ২৮, ওয়াফাদার ৪/৫২, কাইস ৩/৪২)
ফল : আফগানিস্তান ৩৩ রানে জয়ী, সিরিজ জয়ী ৩-১ ব্যবধানে
সুযোগ ছিল সমতায় থেকে সিরিজ শেষ করার। বাংলাদেশের যুবারা সে সুযোগটা নিতে পারলেন না, আফগানিস্তানের কাছে শেষ ওয়ানডেতেও তারা হেরে বসলেন। সিরিজটাও হারতে হলো ১-৩ ব্যবধানে।
সিলেটে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯, ৪ রানের মাঝেই প্রথম সাফল্য এলো বাংলাদেশের, রহমতউল্লাহ গুরবাজ ক্যাচ দিলেন হাসান মাহমুদের বলে। তারিক স্ট্যানিকজাইয়ের সঙ্গে এরপর ৫৫ রানের জুটি ইব্রাহিম জাদরানের। সেই ইব্রাহিম টিকে থাকলেন ৩৬তম ওভার পর্যন্ত, নাইম হাসানের বলে ক্যাচ দেয়ার আগে করলেন ৮৩ রান। ১১৫ রানে তখন আফগানদের ৫ উইকেট নেই, তাদেরকে কম রানের মধ্যে বেঁধে ফেলার আশাটা অবশ্য খানিকবাদেই মিলিয়ে গেল বাংলাদেশীদের। দারওয়াইশ রসুল এরপর তুললেন ঝড়। ৪৭ বলে ৭৫ রান করলেন ছয়ে নেমে, চার মেরেছেন একটি। কিন্তু ছয়? আটটি! সঙ্গে কাইস আহমেদের ১১ বলে ২৮ রানের ক্যামিও, আফগানিস্তান পৌঁছে গেল সিরিজে দুইদলের মাঝেই সর্বোচ্চ স্কোরে।
দুই ওপেনারের কাছে ভাল শুরুর আশা ছিল বাংলাদেশের, দুজন করলেন ১৮ ও ৯ রান। প্রথম ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ফিফটি পেলেন তৌহিদ হৃদয়, শেষ উইকেটে হাসানকে নিয়ে গড়লেন ৫৯ রানের জুটি। তাতে হাসানের অবদান মাত্র ৩ রান, শেষ পর্যন্ত ৭ রানের জন্য পেলেন না সেঞ্চুরি। ৯৩ রানের ইনিংসে ১০টি চারের সঙ্গে ২টি ছয় মেরেছেন তিনি। তবে হৃদয়ের ওপরে নিচে আর কারও স্কোর এতটা ‘স্বাস্থ্যকর’ নয়। তিনজন ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক। তারিকের বলে হৃদয় ক্যাচ দিয়েছেন ৪৯তম ওভারে, হৃদয়ের ব্যাটে ভর করা প্রায় অসম্ভব স্বপ্নটাও মিলিয়ে গেছে এরপর।