রোনালদোর গোলে আশা বাঁচিয়ে রাখল পর্তুগাল
প্রথমার্ধটা বেঞ্চে বসেই কাটিয়েছেন। সতীর্থদের বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করতে দেখে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ‘ছটফটানি’ ক্রমেই বাড়ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কোচ ফের্নান্দো সান্তোস বাতালহা মারটিনসের বদলি হিসেবে নামালেন রোনালদোকে। এর পরেই বদলে যায় দৃশ্যপট। মাত্র ১৩ মিনিটের মাথায়ই এগিয়ে দেন দলকে। শেষ পর্যন্ত অ্যান্ডোরাকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল পর্তুগাল।
সরাসরি বিশ্বকাপে যাওয়ার স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না। গ্রুপের অন্য ম্যাচে হাঙ্গেরিকে ৫-২ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই রয়েছে বাছাইপর্বের সবগুলো ম্যাচ জেতা সুইজারল্যান্ড। লড়াইটা শেষ দিন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য তাই মরিয়া ছিল পর্তুগাল। একাদশে রোনালদো না থাকলেও মুহুর্মুহু আক্রমণে অ্যান্ডোরা রক্ষণকে ব্যস্ত রাখলেন পেপে-নেতোরা।
৮ মিনিটে পেপের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১১ মিনিটে লুইস নেতোর বা পায়ের জোরালো শট পোষ্টের একটু বাইরে দিয়ে যায়। ৩০ মিনিটে রিকার্ডো কারিজমার শট বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার গোমেজ মরেইরা। ৪০ মিনিটে পেপের আরেকটি শটও বাঁচান তিনি। প্রথমার্ধে কোনো গোল না পেয়ে তাই হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়ে পর্তুগিজরা।
দ্বিতীয়ার্ধে রোনালদো নামলে পর্তুগালের আক্রমণের ধার বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ৬৩ মিনিটে বাঁ পায়ের ঠাণ্ডা মাথার শটে দলকে এগিয়ে দেন সিআর সেভেন। এবারের বাছাইপর্বে আট ম্যাচে ১৫ গোল করলেন রোনালদো। জাতীয় দলের হয়ে ১৪৫ ম্যাচে এটি তার ৭৯ তম গোল। ৬৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোলও পেতে পারতেন, তবে ফ্রি কিক পোষ্টের একটু ওপর দিয়ে গেলে সেটা হয়নি। ৮৬ মিনিটে দানিলো পেরেরার পাসে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জয় নিশ্চিত করেন আন্দ্রে সিলভা।
এই জয়ে ৯ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে রইল পর্তুগাল। ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সুইজারল্যান্ড। শেষ ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে হারাতে পারলেই সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে রোনালদোর দল।
এদিকে বুলগেরিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের আরও কাছে পৌঁছে গেছে ফ্রান্স। খেলার ৩ মিনিটের মাথায় জুভেন্টাস মিডফিল্ডার ব্লেইস মাতুইদির গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ম্যাচে আর গোল না হওয়ায় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে লুক্সেমবার্গকে ৮-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সুইডেন। অন্যদিনে বেলারুশকে ৩-১ গোলে হারিয়েও বিশ্বকাপে যাওয়া হচ্ছে না নেদারল্যান্ডসের। শেষ ম্যাচে সুইডেনকে ৭-০ গোলে হারালে শুধু বেঁচে থাকবে প্লে-অফের সম্ভাবনা। গত বারের সেমিফাইনালিস্টদের যে এবার দর্শক হয়ে থাকতে হছে, তা লিখেই দেওয়া যায়।