• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    রূপকথার আরও কাছে যাওয়া হল না সিরিয়ার

    রূপকথার আরও কাছে যাওয়া হল না সিরিয়ার    

    অতিরিক্ত সময়ের খেলা প্রায় শেষ। আর কিছুক্ষণ পরেই বাঁশি বাজাবেন রেফারি। এমন সময় অস্ট্রেলিয়ার বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পেল সিরিয়া। বিশ্বকাপ স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে এগিয়ে এলেন আগের ম্যাচের গোলদাতা উমার আল সোমা। শট নেওয়ার আগেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন তিনি। সিডনিতে উপস্থিত খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের সাথে ততক্ষণে করজোড়ে প্রার্থনায় মগ্ন সমগ্র সিরিয়া। নিজেকে সামলে নিয়ে শট নিলেন সোমা। চমৎকার বাঁকানো শটটি অস্ট্রেলিয়ান কিপার ম্যাট রায়ানকে ফাঁকি দিলেও প্রতিহত হল বারে। সিরিয়ার স্বপ্নরথ থামল সেখানেই। টিম কাহিলের জোড়া গোলে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২-১ (অ্যাগ্রিগেট ৩-২) ব্যবধানে হেরে গেল সিরিয়া। 

     

    বিগত অর্ধযুগ ধরে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়া। দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থার কারণে বাছাইপর্বে ‘হোম’ ম্যাচগুলো খেলতে হয়েছে মালয়েশিয়ায়। এমন অবস্থায় রূপকথার মত এক বাছাইপর্ব দিয়ে দেশবাসীর দুঃখ কিছুটা হলেও লাঘব করেছিলেন সিরিয়ার খেলোয়াড়েরা। এই মালয়েশিয়াতেই গত বৃহস্পতিবার অন্তিম মূহূর্তের গোলে অস্ট্রেলিয়ার সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা। আজ সিডনিতে ‘অসি’রা ফেভারিট হলেও মাত্র ৬ মিনিটে লিড নিয়েছিল সিরিয়াই। দারুণ এক প্রতি আক্রমণে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন আগের ম্যাচের গোলদাতা সোমা। লিডটা অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৩ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ম্যাথিউ লেকির ক্রসে কাহিলের হেডে সমতায় ফেরে ‘সকারু’রা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলের সমতা থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

    কিন্তু সিরিয়ার সব হিসেব-নিকেশ পাল্টে যায় এখানেই। ৯৪ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মাহমুদ আল মোয়াস। ১০৯ মিনিটে আবারও সেই কাহিলেরই হেডে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৫০ গোলও হয়ে গেল কাহিলের। শেষদিকে সোমার শট বারে লেগে ফিরে আসলে খালি হাতেই ফিরতে হয় সিরিয়াকে। ম্যাচ শেষে উদযাপনের চেয়ে প্রতিপক্ষকে সান্ত্বনা দিতেই ব্যস্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ানরা। কিন্তু এত কাছে তবু এত দূরের দুঃখ কি আর ভোলা যায়? .

    অস্ট্রেলিয়ার এই ম্যাচেও নিশ্চিত হয়নি বিশ্বকাপ। হন্ডুরাস, যুক্তরাষ্ট্র বা পানামার কারও সঙ্গে খেলতে হবে প্লে অফ।