জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেন রোবেন
শুধুমাত্র কাগজে কলমেই বেঁচে ছিল বিশ্বকাপের আশা। সুইডেনের বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানের জয়ই পারত নেদারল্যান্ডসকে প্লে-অফে নিয়ে যেতে। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েও বিশ্বকাপে যেতে পারল না ডাচরা। ম্যাচে জোড়া গোল করেও রাজ্যের হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন আরিয়েন রোবেন। ম্যাচ শেষে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে ১৪ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন তিনি।
১৯ বছর বয়সে ২০০৩ সালের এপ্রিলে পর্তুগালের বিপক্ষে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন। একটা সময় হয়ে ওঠেন ডাচদের প্রাণভোমরা। দাপটের সাথে খেলেছেন ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে। ৯৬ ম্যাচে ৩৭ গোল করার পাশাপাশি অসংখ্য অ্যাসিস্ট করে বহুবার দলকে জয় এনে দিয়েছেন রোবেন। ডেনিস বার্গক্যাম্পের সাথে যৌথভাবে ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। গতকাল সুইডেনের বিপক্ষে ১৬ ও ৪০ মিনিটে গোল করে দলকে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিলেন। তবে আর গোলের দেখা না পাওয়ায় জয়ের পরেও বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় নেদারল্যান্ডসের।
ইনজুরিটা বেশ কয়েক বছর ধরেই ভোগাচ্ছিল। গত বছর ইউরোতে না খেলার হতাশাও যোগ হয়েছিল ৩৩ বছর বয়সী রোবেনের ক্যারিয়ারে। অবসরের ঘোষণার পর রোবেন বলছেন, অনেক আগে থেকেই এই ব্যাপারে ভাবছিলেন তিনি, “বহুদিন ধরেই আমি ব্যাপারটা ভাবছিলাম। তবে প্রতিবারই নিজেকে বুঝিয়ে খেলা চালিয়ে গিয়েছি। এই বাছাইপর্বে শেষবারের মতো কিছু করে দেখাতে চেয়েছিলাম। এখন আমার বয়স ৩৩, ক্লাব ফুটবলেই মনোযোগটা দিতে চাই। সরে দাঁড়ানোর এটাই হয়ত ঠিক সময়। আরও অনেকদিন ফুটবল খেলে যেতে চাই।”
বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারে প্রাপ্তির পাশাপাশি আছে হতাশাও। ২০১০ সালে ফাইনালে উঠেও বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখা হয়নি। ২০১৪ তে সেমিফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছে। বিদায়বেলায় রোবেন অবশ্য কোনো আক্ষেপের কথা বলেননি, “ছয়টা বড় টুর্নামেন্ট খেলেছি দলের হয়ে। সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত ছিল ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপ। অল্পের জন্য সাফল্য আসেনি। কিন্তু সেগুলোই আমার ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত। সবাইকে ধন্যবাদ এতগুলো বছর আমাকে সমর্থন জুগিয়ে যাওয়ার জন্য।”