• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    রাশিয়ায় যাওয়া হলো না যুক্তরাষ্ট্রের

    রাশিয়ায় যাওয়া হলো না যুক্তরাষ্ট্রের    

     

    জিতলেই সরাসরি বিশ্বকাপ যাত্রা নিশ্চিত, ড্র হলেও প্লে-অফে খেলে রাশিয়াতে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। প্রতিপক্ষ গ্রুপের তলানিতে থাকা ত্রিনিদাদ ও টোবাগো হওয়ায় সমীকরণটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব একটা কঠিন ছিল না। অথচ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে তাদের কাছেই ২-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপে যাওয়া হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের।

    চারদিন আগেই পানামাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল টিম হাওয়ার্ডের দল। বাছাইপর্বে নিজের ৯ ম্যাচে মাত্র ৩ পয়েন্ট পাওয়া ত্রিনিদাদের বিপক্ষে শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত যুক্তরাষ্ট্র। ৭ মিনিটে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন জজি অ্যাল্টিডোর। ১৭ মিনিটের মাথায় ওমার গঞ্জালেজের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ত্রিনিদাদ। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলভিন জোন্স। ৩০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক শটে হাওয়ার্ডকে পরাজিত করেন তিনি।

     


    দুই গোলে পিছিয়ে পরে সমতা আনতে মরিয়া হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বক্সের বাইরে থেকে জোরালো এক শটে গোল করে বিশ্বকাপে যাওয়ার আশা জাগিয়ে তোলেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক। এরপর বহুবার আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি তারা। ৭৭ মিনিটে ক্লিন্ট ডেপমস্যার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে ওমার গঞ্জালেজের হেড পোস্টের সামান্য উপর দিয়ে চলে গেলে স্বপ্নভঙ্গের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে।
     


    শেষবার ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে খেলেনি যুক্তরাষ্ট্র। তাদের হতাশার দিনে ইতিহাস গড়েই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে পানামা। কোস্টারিকাকে ২-১ গোলে হারিয়ে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে তারা। ৮৭ মিনিট পর্যন্ত ১-১ গোলে সমতা ছিল পানামা- কোস্টারিকা ম্যাচে। ৮৮ মিনিটে রোমান তোরেসের গোলে উল্লাসে ভাসে পুরো পানামা। ২০১৩ সালে বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরেই বিশ্বকাপে যাওয়া হয়নি তাদের।

    অন্য ম্যাচে মেক্সিকোকে ৩-২ গোলে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে হন্ডুরাস। আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়ার সাথে প্লে-অফ খেলবে তারা। কনকাকাফ অঞ্চল থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে যাচ্ছে মেক্সিকো, কোস্টারিকা ও পানামা।