'ফুটবল বিশ্বই মেসির কাছে ঋণী’
মঞ্চটা তাঁর জন্যই সাজানো ছিল। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপে যাওয়ার স্বপ্নটা নির্ভর করছিল তাঁর ওপরেই। কোটি ভক্তকে হতাশ করেননি লিওনেল মেসি, অসাধারণ এক হ্যাটট্রিকে স্বস্তির জয় এনে দিয়েছেন দলকে। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন কোচ হোর্হে সাম্পাওলি বলছেন, ফুটবল বিশ্বই মেসির কাছে ‘ঋণী’।
বাঁচা মরার ম্যাচে শুরুতেই পিছিয়ে পরা আর্জেন্টিনাকে খেলায় ফেরান মেসি। এরপর আরও দুই গোল করে সব আশংকা উড়িয়ে দিয়েই রাশিয়ায় যাওয়া নিশ্চিত করেন দলের। সাম্পাওলি জানালেন, মেসিকে পেয়ে ‘গর্বিত’ আর্জেন্টিনা, “বিশ্বের সেরা ফুটবলার সৌভাগ্যক্রমে আর্জেন্টিনার নাগরিক। আমি দলের সবাইকে বলেছি, শুধু আর্জেন্টিনা না, ফুটবল বিশ্বই মেসির কাছে ঋণী, তারাও চায় মেসি বিশ্বকাপ জিতুক। আমাদের সবার উচিত হবে আগামী বিশ্বকাপে তাঁকে যথাসাধ্য সাহায্য করা।”
ইকুয়েডরের বিপক্ষে পা হড়কালেই রাশিয়া বিশ্বকাপে দর্শক হয়েই কাটিয়ে দিতে হতো মেসিকে। সাম্পাওলির মতে, মেসিকে ছাড়া বিশ্বকাপ ‘অপূর্ণই’ থেকে যেত, “মেসিকে ছাড়া বিশ্বকাপ ভাবাই যায় না! এটা মাথায় রেখেই আমরা খেলতে নেমেছিলাম। বাছাইপর্বের এই চাপ আমাদের আর শক্তিশালী বানিয়েছে। মেসি ইতিহাসের সেরা, তাঁর সাথে একই দলে কাজ করতে পেরে আমিও অনেক গর্বিত।”
২০১৬ সালের নভেম্বরের পর সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলেননি মেসিসহ আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। এরকম জয়ের পর মেসিও সাংবাদিকদের বলেছেন, বিশ্বকাপে দলকে পৌঁছে দিতে পেরে স্বস্তিবোধ করছেন তিনি, “শেষ পর্যন্ত সব ভালোভাবেই হয়েছে এবং আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি। প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, এখন আসল কাজটা বাকি। এতদিন মিডিয়া থেকে দূরে থাকার জন্য আমাদের মাঝে দূরত্বটা কমেছে। আর্জেন্টিনা ছাড়া বিশ্বকাপের কথা ভাবাই যায় না। এই দলের এরকম পরিণতি প্রাপ্য না। আমরা আরও শক্তিশালী হয়েই ফিরব।”
মেসি জানিয়েছেন, এখন সময় শুধুই উদযাপনের, “জয়টা স্বস্তির ছিল। আমরা খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলাম না। ১-০ তে পিছিয়ে যাওয়ার পর আমার মাথায় অনেক কিছুই এসেছে। কিন্তু দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমরা বিশ্বকাপে পৌঁছে গেছি। এখন শুধুই উদযাপনের সময়।”