নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মেরেছে চিলি!
একটুর জন্য ভেস্তে গেছে বিশ্বকাপ স্বপ্ন, শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে ৩-০ গোলে হেরে হতে হয়েছে ষষ্ঠ। অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফল পক্ষে গেলে চিলি অবশ্য প্লে অফ খেলতে পারত। বিশেষ করে চিলিকে বিদায় করার জন্যই কলম্বিয়া শেষ মুহূর্তে পেরুর কাছে গোল খেয়েছে কি না, এমন ফিসফাসও আছে। তবে চিলি প্লে অফ মিস করার জন্য শুধু নিজেদেরই দুষতে পারে। ফিফার কাছে নিজেরা আপিল না করলে তো পঞ্চম হয়েই প্লে অফ খেলতে পারত!
ব্যাপারটা একটু খোলাসা করা যাক। বলিভিয়ার সঙ্গে গোলশুন্য ড্রয়ের পর চিলি অভিযোগ করেছিল, ওই ম্যাচে বলিভিয়া একজন অবৈধ খেলোয়াড়কে নামিয়েছে। পরে ফিফার তদন্তে দেখা গেছে, ওই ম্যাচে বলিভিয়ার হয়ে নামা নেলসন ক্যাবেরা আদতে একজন প্যারাগুয়ের খেলোয়াড়। গত বছরও মাঠে নেমেছিলেন প্যারাগুয়ের হয়ে। বলিভিয়ার সঙ্গে ম্যাচে তাই চিলিকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। চিলি পায় অতিরিক্ত দুই পয়েন্ট , বলিভিয়া হারায় তিন পয়েন্ট।
কিন্তু মজা হয়েছে আরেক জায়গায়। পেরুর সঙ্গে ম্যাচেও নেলসনকেই মাঠে নামিয়েছিল বলিভিয়া। ওই ম্যাচটা আবার বলিভিয়া জিতেছিল ৩-০ গোলে। সেটিও বাতিল হয়ে গেলে বলিভিয়া ওই তিন পয়েন্টও হারায়, পেরু পেয়ে যায় তিন পয়েন্ট। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ বাছাইয়ে যা তাদের জন্য মহামূল্যবান হয়ে এসেছে।
শেষ পর্যন্ত বাছাইপর্বে চিলি ও পেরু দুই দলই শেষ করেছে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে। কিন্তু গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় পেরুই চলে গেছে প্লে অফে। কিন্তু চিলি যদি আপিল না করত তাহলে তারা দুই পয়েন্ট পেত না ঠিকই, কিন্তু পেরুরও তিন পয়েন্ট পাওয়া হতো না। তখন চিলিই এগিয়ে থাকত এক পয়েন্টে। নিজেদের পায়ে তাই আক্ষরিক অর্থেই নিজেরা কুড়াল মেরেছে!