আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে হোঁচট খেতে দিলেন না নুরুল-ইয়াসির
আয়ারল্যান্ড এ : ৭৪.৫ ওভারে ২৫৫ (সিমি ১২১; মাহাদি ৩/৪৭) এবং ৬০.২ ওভারে ২১৩ (শ্যানন ৯০, সানজামুল ৫/৯০, মেহেদী ৩/৪৮)
বাংলাদেশ এ ১১৬.৪ ওভারে ৩৩৭ (সাদমান ১০৮, নাজমুল ৬৯; ম্যাকব্রাইন ৩/৬৪) এবং ৩৯.৩ ওভারে ১৩২/৫ (ইয়াসির ৪৭*, নুরুল ৩১; ম্যাকব্রাইন ৪/৬৩)
ফলঃ বাংলাদেশ এ ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচঃ সাদমান ইসলাম
১৩২ রানের লক্ষ্য এমনিতে কিছুই নয়। তবে টার্নিং পিচে চতুর্থ ইনিংসে সেটা হঠাৎ করেই কঠিন হয়ে গিয়েছিল বাংলাদশ এ দলের জন্য। এক ম্যাকব্রাইনই কাজটা কঠিন করে তুলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত বড় কোনো বিপদ হতে দেননি ইয়াসির আলী ও নুরুল হাসান। দুজনের ৭১ রানের জুটিটাই আয়ারল্যান্ডের এ দলের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের।
২৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। সকালে আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান সাদমান ইসলাম ও আল আমিন মিলে আরও ২৬ রান তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু এরপরেই আবার ম্যাকব্রাইনের ছোবল। ২৪ রানে এল আমিনকে এলবিডব্লু করেছেন এই অফ স্পিনার। তিন ওভার পর সাদমানকেও বোল্ড করলে ৬০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
ইয়াসির ও নুরুল এরপর ঠিক করলেন, পাল্টা আক্রমণেই ম্যাচটা বের করে নেবেন। চার-ছয় মেরে দুজনই জয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন বাংলাদেশকে। দুজন মিলে যখন ম্যাচ জিতিয়েই ফিরবেন বলে মনে হচ্ছিল, তখনই ছন্দপতন। জয় থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতেই ৩১ রান করে আউট হয়ে যান নুরুল। পঞ্চম উইকেটে দুজনের ৭১ রান এসেছে ১৬.২ ওভারে। শেষ পর্যন্ত ইয়াসিরের ব্যাটেই চার দিনের ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এরপর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে পাঁচটি এক দিনের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ এ। ১৭ অক্টোবর কক্সবাজারে শুরু হবে প্রথম ম্যাচ।