• " />

     

    সতীর্থের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু ইন্দোনেশিয়ান গ্রেটের

    সতীর্থের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু ইন্দোনেশিয়ান গ্রেটের    

     

    লেমনগান শহরে তাঁর জন্ম। যখন থেকে ফুটবল বুঝতে শিখেছেন, পার্সেলা লেমনগান ক্লাবকেই মনে প্রাণে সমর্থন করে এসেছেন। ফুটবলের হাতেখড়িও এই ক্লাবে। চইরুল হুদা তাঁর পুরো ক্যারিয়ারটাই কাটিয়ে দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার এই ক্লাবে। জীবনের শেষ মুহূর্তটাও কাটল ক্লাবের হয়ে খেলতে গিয়ে। গতকাল ইন্দোনেশিয়ার লিগ ওয়ানের ম্যাচে সতীর্থের সাথে ধাক্কা লাগার পর গুরুতর আঘাতের কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন হুদা।

     

    সেমেন প্যাডাংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধের ঠিক আগে র‍্যামন রদ্রিগেজের সাথে ধাক্কা লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ৩৮ বছর বয়সী হুদা। সাথে সাথেই তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ডাক্তার জানান, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে হুদার, “প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল তাঁর মাথা ও ঘাড়ে বেশি আঘাত লেগেছে। তবে মৃত্যুর আসল কারণ হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক। সে পড়ে যাওয়ার পর থেকেই নিঃশ্বাস নিতে পারছিল না।”

     

    ১৯৯৯ সালে পার্সেলার হয়ে অভিষেক হয়েছিল। এরপর ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ৫০৩ ম্যাচ, জিতেছেন অনেক দলীয় ও ব্যক্তিগত পুরস্কার। ম্যাচ শেষে পার্সেলার ফুটবলাররা পান তাঁর মৃত্যুর সংবাদ। মাঠেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সবাই। হাসপাতালে গিয়ে শেষবারের মতো দেখে আসেন তাদের প্রিয় অধিনায়ককে।

     

     

    শুধু সতীর্থ নয়, হুদার মৃত্যু ছুঁয়ে গেছে হাজারো ইন্দোনেশিয়ান ফুটবল ভক্তকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের শোক জানানোর পাশাপাশি ক্লাবের বাইরে মোমবাতি, হুদার ছবিসহ পোস্টার লাগিয়েও তাঁকে স্মরণ করছেন ভক্তরা।

     

    পার্সেলা ক্লাব কর্তৃপক্ষ বলছে, হুদা ছিলেন সত্যিকারের কিংবদন্তি, “ এই দীর্ঘ সময় ধরে ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য তাঁকে আমরা আজীবন মনে রাখবো। তিনি সত্যিকারের কিংবদন্তি। আমাদের উজ্জীবিত করার জন্য ধন্যবাদ।”