চ্যাম্পিয়নস লিগ না জিতলে বুফনের বিদায়
তাঁর সঙ্গে এক সময় তুলনা করা হত অলিভার কানের। এর পর ইকার ক্যাসিয়াস, ম্যানুয়েল নয়্যার হয়ে ডেভিড ডি গিয়ার সাথে তুলনা চলেছে তাঁর। সময় বদলেছে, কিন্তু বদলাননি তিনি। ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় জুড়েই সেরা গোলরক্ষকদের ছোট তালিকায় জিয়ানলুইজি বুফনের নাম ছিল সবসময়ই।৩৯ বছরে বয়সেও বর্ণিল ক্যারিয়ারে যোগ হয়েছে নতুন সাফল্য, কদিন আগেই জিতেছেন বর্ষসেরা গোলরক্ষকের খেতাব।
কিন্তু বুফনের ক্যারিয়ারটা বোধ হয় আর লম্বা হচ্ছে না। বর্ষসেরা পুরস্কার জেতার পরই জানিয়ে দিয়েছেন মৌসুম শেষে অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে এক শর্তে বিলম্বিত হতে পারে তাঁর সিদ্ধান্ত। জুভেন্টাসের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারলে আরও কিছুদিন গায়ে চড়াবেন জুভেন্টাসের জার্সি!
ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতলেও চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা হয়নি বুফনের। কয়েকবার ফাইনাল খেললেও শিরোপাটা থেকে গেছে অধরা। তবে এবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা না হলে আর চেষ্টা করতে চাননা বুফন।
মৌসুম শেষে এবার যদি জিতেই যান 'পরম আরাধ্য' সেই শিরোপা, তাহলে ক্লাব বিশ্বকাপটাও জিততে চান বুফন। শুধুমাত্র সে কারণেই অবসরটা ভাঙতে রাজি তিনি। না হলে মৌসুম শেষেই ফুটবলকে বিদায় জানাবেন বুফন।
'এটাই আমার শেষ মৌসুম, আমি নিশ্চিত এবারই আমি অবসরে যাচ্ছি। ফুটবলে সব কিছুই পেয়েছি আমি। আরও দুই, এক বছর বেশি খেলে নতুন করে পাওয়ার কিছুই নেই আমার'।
'তবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে গেলে আমি সিদ্ধান্তটা বদলাব। আশা করি ক্লাব বিশ্বকাপে ভোজেইক সেজনি আমাকে একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেবে!'।
জুভেন্টাসের আরেক গোলরক্ষক সেজনিকে নিয়ে মজা করলেও তাঁর উপর ভরসা রাখছেন বুফন। তিনি চলে গেলে জুভেন্টাসের প্রথম গোলরক্ষক সেজনিই হবেন বলে মনে করছেন তিনি। তাই বিদায় নেয়ার জন্য সময়টাকে সঠিক মানছেন তিনি।
পার্মাতে ক্যারিয়ার শুরু করা বুফন ২০০১ সালে যোগ দিয়েছিলেন জুভেন্টাসে। এর পর সিরি আ, কোপা ডে ইতালিয়াসহ জিতেছেন সবই। জাতীয় দলের হয়ে ২০০৬ সালে জিতেছিলেন বিশ্বকাপ। সুইডেনকে প্লে অফে হারিয়ে ইতালি মূল পর্বে উঠে গেলে আগামী বিশ্বকাপেও দেখা যাবে বুফনকে। আর তার আগে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে না পারলে ইতালির জার্সি গায়েই বুফন খেলে ফেলবেন নিজের শেষ ম্যাচ।