সাকিবের বিবর্ণ দিন
এই গত নভেম্বরে খুলনাতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে দুই ইনিংসেই পেয়েছিলেন পাঁচটি করে উইকেট। টেস্ট তো বটেই, যে কোন সংস্করণের ক্রিকেটেই সাকিব আল হাসান এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের মুখ্য স্পিনার। অথচ সেই তিনি পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি টেস্টের প্রথম ইনিংসে এ পর্যন্ত ৩১ ওভার বল করে উইকেটশুন্য! আট বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে ৩৮ টেস্টে ৬৩ ইনিংস বল করে এরচেয়ে হতাশাজনক পারফরম্যান্স সাকিবকে এর আগে দেখতে হয়েছিল কেবল দু’বার।
২০০৭ সালে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৩ ওভার বল করে কোন উইকেট ফেলতে পারেন নি। ঢাকায় পরের টেস্টেও এক ইনিংসে ১৯ ওভার বল করার সুযোগ পেয়েও উইকেটের দেখা পান নি। কলম্বোয় শ্রীলংকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টেও ছিলেন উইকেটশুন্য। পরের বছর ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ২ উইকেট তুলে নিয়ে ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ফের দু’ ইনিংস উইকেটের দেখা মেলে নি। অবশ্য ওই দুই ইনিংসে বল করেছিলেন যথাক্রমে ১০ ও ৭ ওভার। সবমিলিয়ে চলতি টেস্টের আগ পর্যন্ত নিয়মিত বল করে সাকিবকে উইকেটশুন্য থাকতে হয়েছে ১৩টি ইনিংসে। তবে অভিষেক টেস্টের পর এক ইনিংসে ১৫ ওভারের বেশী বল করে উইকেটশুন্য থেকেছেন কেবল দু’বার। ২০১১ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১.৫ ওভার বল করে উইকেট পান নি। এর এক বছর বাদে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৪ ওভার বল করে ছিলেন উইকেটশুন্য। আর প্রায় আড়াই বছর বাদে চলমান খুলনা টেস্টে ক্যারিয়ারের আরেকটি বাজে টেস্ট বোলিং ফিগার দেখছেন সাকিব। অবশ্য রান খরচের দিক থেকে আগের দুটো তিক্ত অভিজ্ঞতাকেও ছাড়িয়ে গেছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। প্রথমবার ৪১.৫ ওভার বল করে রান দিয়েছিলেন ১২১। দ্বিতীয়বার ৩৪ ওভারে রান দেন ১০৪। আর এই ইনিংসে ইতোমধ্যেই ৩১ ওভার বল করে গুণে ফেলেছেন ১২২ রান।
একই টেস্টের দুই ইনিংসে বল করেও উইকেট পান নি এমন ঘটনা সাকিবের জন্য এর আগে ঘটেছে দু’বার। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আর ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবে ওই দু’ টেস্টে দু’ ইনিংস মিলিয়ে বল করেছিলেন যথাক্রমে ১৭ ও ১৬ ওভার। এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি নিশ্চিত করেই চাইবেন না সাকিব। চাইবে না বাংলাদেশও!