• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল সুইজারল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া

    বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল সুইজারল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া    

     

    নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। যোগ করা সময়ে উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রায় সবাই চলে এলেন ‘আক্রমণে’। একটা গোল পেলেই খেলা চলে যাবে অতিরিক্ত সময়ে। মাঝমাঠের একটু সামনে থেকে ক্রস করলেন ক্রিস ব্রান্ট। ডি বক্সের ভেতরে থাকা জনি ইভান্স লাফিয়ে উঠে বলে মাথা লাগালেন। বল জালে ঢুকেই গিয়েছিল প্রায়, তখনি গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করলেন রিকার্ডো রদ্রিগেজ। প্রথম লেগে যার গোলে হেরেছিল আয়ারল্যান্ড, সেই রদ্রিগেজের দারুণ রক্ষণেই বিশ্বকাপে যাওয়া হলো না উত্তর আয়ারল্যান্ডের। উত্তর আয়ারল্যান্ডের সাথে গোলশূন্য ড্র করে টানা চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ড।

     

    পুরো ম্যাচেই বহু সুযোগ নষ্ট করেছে দুই দলই। ৮ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের স্টিভেন জুবারের শট বাঁচিয়ে দেন আয়ারল্যান্ড গোলরক্ষক। ১৪ মিনিটে জারদান শাকিরিকেও হতাশ করেন মিচেল ম্যাকগভার্ন। পরের মিনিটেই গোলের সুযোগ এসেছিল আয়ারল্যান্ডের সামনে, ক্রিস ব্রান্ট সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। ২৫ মিনিটে আবারো শাকিরির শট ঠেকিয়ে দেন ম্যাকগভার্ন। প্রথমার্ধের আগে জুবার মিস করেন আরও দুটি সুযোগ।

     

     

     

    দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দলের ফরোয়ার্ডরা বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছেন। ম্যাচের সেরা সুযোগ আসে ৯১ মিনিটে। ইভান্সের সেই হেডে ম্যাচে সমতা আনতে পারত আয়ারল্যান্ড, অতিরিক্ত সময়ে হয়ত ফলাফল অন্যরকমও হতে পারতও। তবে রদ্রিগেজ সেটা আর হতে দেননি। প্রথম লেগে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলেই বিশ্বকাপে পৌঁছে গেলো সুইজারল্যান্ড, স্বপ্নভঙ্গ হলো উত্তর আয়ারল্যান্ডের।

     

     

    বাছাইপর্বের অন্য ম্যাচে গ্রিসের সাথে গোলশূন্য ড্র করে রাশিয়ার টিকেট নিশ্চিত করেছে ক্রোয়েশিয়া। প্রথম লেগে ৪-১ গোলের জয়ে বিশ্বকাপে এক পা দিয়েই রেখেছিল ইভান রাকিতিচের দল। দ্বিতীয় লেগে খুব একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দলই। গোলের সবচেয়ে কাছে গিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার ইভান পেরিসিচ, ৪৩ মিনিটে তাঁর শট পোস্টে লেগে ফিরে যায়। ৬৫ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রেখেও কিছু করতে পারেনি গ্রিস।