নেইমারদের হতাশ করলেন হার্ট
আগের ম্যাচে তরুন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড ‘দেয়াল’ ভাঙতে পারেনি জার্মানি। ওয়েম্বলিতে প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষেও ইংল্যান্ড দলের রক্ষণভাগ বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে। গোলরক্ষক জো হার্টের দুর্দান্ত পারফম্যান্সে নেইমার-কুতিনহোদের হতাশ করে গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ইংল্যান্ড।
ম্যাচের শুরু থেকেই ইংলিশ রক্ষণভাগকে চাপে রাখে ব্রাজিল। ৪ মিনিটের মাথায়ই এগিয়ে যেতে পারত সেলেসাওরা। নেইমারের পাসে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট নেন দানি আলভেস, তাঁর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১১ মিনিটে নেইমারের শটও পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিটে আলভেসের দারুণ এক ক্রসে হেড করেছিলেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস, তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন ইংলিশ কিপার জো হার্ট।
১৮ মিনিটে ম্যাচে নিজেদের প্রথম সুযোগ তৈরি করে ইংল্যান্ড। হ্যারি ম্যাগুয়েরের পাসে বল পেয়েছিলেন মার্কাস র্যাশফোর্ড, তাঁর জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক। ২০ মিনিটের মাথায় আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন পলিনহো। ৩০ মিনিয়ে ফিলিপ কুতিনহো পাসে পলিনহোর শট ঠেকিয়ে আবারো ব্রাজিলকে হতাশ করেন হার্ট। প্রথমার্ধের ঠিক আগে অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায় পলিনহোর দারুণ একটি হেড।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা বজায় রাখে ব্রাজিল। ৪৭ মিনিটে কুতিনহোর শট দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দেন হার্ট। ৮৫ মিনিটে ম্যাচের সেরা সুযোগ পেয়েছিলেন পলিনহো। নেইমারের পাসে বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সেই হার্টের কল্যাণেই। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে অবশ্য সবাইকে চমকে দিয়ে জয় ছিনিয়ে আনতে পারত ইংল্যান্ড। পোস্টের মাত্র ৬ গজ দূর থেকে ডমিনিক সোলাংকির শট ঝাঁপিয়ে পরে বাঁচিয়ে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক এলিসন রামসেস বেকার। ১৯৭৭ সালের পর এই প্রথম দুই দলের ম্যাচ গোলশূন্যভাবে শেষ হল। পিটার শিলটনের পর প্রথম ইংলিশ গোলরক্ষক হিসেবে ব্রাজিলের বিপক্ষে ‘ক্লিন শিট’ রেখেই মাঠ ছাড়লেন হার্ট।
রাতের অন্য ম্যাচে জার্মানি-ফ্রান্স ড্র করলেও লড়াইটা ছিল বেশ জমজমাট। ৩৩ মিনিটে আলেকজান্ডার লাকাজেতের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্স। ৫৬ মিনিটে টিমো ওয়েরনারের গোলে সমতা ফেরায় জার্মানরা। ৭১ মিনিটে আবারো গোল করেন লাকাজেত। তবে ৯৩ মিনিটে লারস স্টিন্ডেলের দারুণ এক গোলে পরাজয় এড়ায় জার্মানি। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
এদিকে রাশিয়ার বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে স্পেন। জর্ডি আলবা ৯ মিনিটের মাথায় স্পেনকে এগিয়ে দেন, ৩৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সার্জিও রামোস। ৪১ মিনিটে ব্যবধান কমান রাশিয়ার ফোদোর স্মোলোভ। ৫১ মিনিটে সমতা আনেন আকেলসি মিরানচুক। ২ মিনিট পরেই পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় দল করেন রামোস। ৭০ মিনিটে আবারো ম্যাচে সমতা আনেন স্মোলোভ।