চার গোলে এগিয়ে থেকেও জিততে পারল না ডর্টমুন্ড
ম্যাচের মাত্র ২৫ মিনিট পেরিয়েছে। এর মাঝেই শালকে হজম করেছে চারটি গোল। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে খেলা দেখতে আসা কয়েক হাজার শালকে ভক্তের মাথায় হাত, বাকি ৬৫ মিনিটে কি ব্যবধান আরও বেড়ে লজ্জাটাও বাড়বে? নাহ, ব্যবধান তো বাড়েইনি, উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে ৪ গোল করে দুর্দান্ত এক ফিরে আসার গল্প রচনা করেছে শালকের ফুটবলাররা। জার্মান লিগে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে ৪ গোলে পিছিয়ে পরেও ডর্টমুন্ডের সাথে ৪-৪ গোলে ড্র করেছে শালকে।
১২ মিনিটের মাথায় ডর্টমুন্ডকে এগিয়ে দেন পিয়েরে অবামিয়াং। ৬ মিনিট পর বেঞ্জামিন স্টামবলির আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান বাড়ায় ডর্টমুন্ড। ২০ মিনিটের মাথায় অবামিয়াংয়ের ক্রসে মাথা লাগিয়ে বল জালে জড়ান মারিও গোটশে। ৫ মিনিট পর চতুর্থ গোলের দেখা পায় ডর্টমুন্ড। রাফায়েল গুরেরিওর জোরালো শটে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। শালকে রক্ষণভাগকে লাগছিল দিশেহারা, ফরোয়ার্ডরাও প্রতিপক্ষের বক্সের আশেপাশেই যেতে পারছিলেন না।
দ্বিতীয়ার্ধেই যেন ভোজবাজির মতো বদলে যায় পরিস্থিতি। ‘ঘুমিয়ে থাকা’ শালকে আক্রমণভাগ একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা করে ফেলে ডর্টমুন্ড রক্ষণকে। ৬১ মিনিটে স্টামবলির ক্রসে হেডে গোল করেন গুইডো বার্গস্টেলার। ৪ মিনিট পর আবারো ডর্টমুন্ডের জালে বল জড়ান আমিন হারিত। ৭২ মিনিটে অবামিয়াং লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ডর্টমুন্ড।
শেষ বাঁশি বাজতে তখন বাকি মাত্র ৪ মিনিট। শালকের হয়ে তৃতীয় গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ড্যানিয়েল ক্যালিগিরি। ৯৪ মিনিট পেরিয়ে গেলো, তখনও ৪-৩ গোলে এগিয়ে ডর্টমুন্ড। বক্সের খানিকটা বাইরে থেকে ক্রস করলেন ইয়েভেন কনোপ্ল্যাঙ্কা। ডর্টমুন্ড কিপারের ঠিক সামনে লাফিয়ে উঠে মাথায় বল ছোঁয়ালেন নালদো, বল ঢুকে গেলো জালে। শালকে ফুটবলার ও ভক্তদের তখন বাঁধভাঙ্গা আনন্দ। অন্যদিকে ডর্টমুন্ডের কেউ যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না! ৪-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৪-৪ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে শালকে।