আবার হারল টটেনহাম
গত মৌসুমে সব মিলিয়ে চার ম্যাচে হেরেছিল তাঁরা। এই মৌসুমে এরই মাঝে তিনবার পরাজয়ের মুখ দেখা হয়ে গেছে টটেনহামের। গতকাল আবারও হেরে গেল মরিসিও পচেত্তিনো দল। ঘরের মাঠে টটেনহামকে ২-১ গোলে হারিয়েছে লেস্টার সিটি।
কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে ৫ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত লেস্টার। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া উইলফ্রেড এনডিডির শট ঠেকিয়ে দেন টটেনহাম গোলরক্ষক। ৮ মিনিট পর অবশ্য গোলরক্ষক বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি জেমি ভার্ডির সামনে। মার্ক অলব্রাইটন থ্রু বলে গোল করেন ভার্ডি। এই নিয়ে লিগে টানা ১২ ম্যাচে গোল করে রেকর্ড করলেন তিনি।
৩২ মিনিটে ড্যালি আলির শট বাচিয়ে দেন লেস্টার কিপার। ৪২ মিনিটে সার্জি অরিয়েরকেও হতাশ করেন ক্যাসপার স্মাইকেল। প্রথমার্ধের একবারের অন্তিম মুহূর্তে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়াদ মাহরেজ। এনডিডির পাসে বল পেয়ে বল জালে জড়াতে ভুল করেনি মাহরেজ।
গোল শোধ করার জন্য মরিয়া স্পারস দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায়। হ্যারি কেইন, ডেভিনসন সানচেজ, ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন; সুযোগ নষ্ট করেছেন সবাই। ৭৯ মিনিটে গোল করে কিছুটা আশার আলো দেখান কেইন। এরিক লামেলার থ্রু বলে গোল করেন তিনি, এটা লেস্টারের বিপক্ষে কেইনের ১১ তম গোল। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল এরিক ডায়ারের সামনে, কিন্তু তাঁর হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় টটেনহামকে। ২০০১-০২ মৌসুমের পর এবারই প্রথম ঘরের মাঠে টটেনহামের বিপক্ষে লিগে জয় পেল লেস্টার।
টটেনহামের পরাজয়ের রাতে ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচের ৩২ মিনিটের মাঝে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় হোসে মরিনহোর দল। জোড়া গোল করেন অ্যাশলি ইয়ং। তৃতীয় গোলটি করেন অ্যান্থনি মার্শিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান ট্রয় ডিনি। ৮৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে ইউনাইটেডকে খানিকটা শঙ্কায় ফেলেন আবদুলাই ডুকোর। ৮৬ মিনিটে বল জালে জড়িয়ে ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত করেন জেসে লিনগার্ড। এই জয়ে ১৪ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইউনাইটেড।