কাভানিকে ছাড়া নেমে হেরেই গেল পিএসজি
শুধু নেইমারের জন্যই পিএসজির খরচ পড়েছে ১৯৮ মিলিয়ন পাউন্ড। সেখানে স্ট্রসবর্গ নামের ক্লাবটি পুরো দলবদলেই খরচ করেছে সাড়ে তিন মিলিয়ন পাউন্ড। এই মৌসুমেই মাত্র উঠে এসেছে লিগ ওয়ানে। তার ওপর পয়েন্ট টেবিলের তলানির দিকেই ছিল। অথচ সেই স্ট্রসবর্গের কাছেই হেরে গেল পিএসজি, তাও আবার সব প্রতিযোগিতা মিলে মৌসুমে প্রথমবারের মতো! ২-১ গোলের এই হারের পরও অবশ্য পিএসজি অনেকটা এগিয়েই সবার ওপরে আছে।
এই মৌসুমে লিগে প্রথমবারের মতো এডিনসন কাভানি ছিলেন বেঞ্চে। কিন্তু কে জানত, তাঁকে বিশ্রাম দেওয়াটাই কোচ উনাই এমেরির জন্য এমন কাল হয়ে দাঁড়াবে? ১৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্ট্রসবর্গ। একটা ফ্রিকিক থেকে বল পেয়ে ফাঁকায় দাঁড়ানো ডা কস্টা হেড করে বল জড়িয়ে দেন জালে। পিএসজি এরপর তেড়েফুঁড়ে গোলের চেষ্টা করতে থাকে। আরেকটু হলে আনহেল ডি মারিয়া সেটি করেও ফেলেছিলেন, কিন্তু তাঁর শট একটুর জন্য চলে যায় বাইরে।
শেষ পর্যন্ত ৪২ মিনিটে আদ্রিয়ান রাবিওটের ক্রস থেকে সমতা ফেরান একাদশে ফেরা কিলিয়ান এমবাপে। তবে সেটার উৎস ছিলেন নেইমারই। দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি একটু হলেই এগিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু নেইমারের শট বারের একটু ওপর দিয়ে চলে যায়। এরপর ডি মারিয়াকে গোল পেতে দেননি স্ট্রাসবর্গ গোলরক্ষক। উলটো ৬৫ মিনিটে স্টেফানো বাহোকেনের গোলে আবারও এগিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। এরপর পিএসজি চেষ্টা করেও আর সমতা ফেরাতে পারেনি। কাভানি বেঞ্চ থেকে নেমেও কিছু করতে পারেননি। যোগ করা সময়ে রাবিওটের শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন গোলরক্ষক, পরে এমবাপে কাছ থেকে বল পেয়েও মেরেছেন বাইরে।
তবে আজকের হারের পরও দুই থাকা মোনাকোর চেয়ে ৯ পয়েন্ট এগিয়ে আছে পিএসজি। তবে তিনে থাকা অলিম্পিক মার্শেই নিজেদের ম্যাচে জিতে গেলে এক ও দুই নম্বরে থাকা দলের ভেতর পয়েন্ট ব্যবধান দাঁড়াবে সাত।