• বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ২০১৫
  • " />

     

    স্বপ্নভঙ্গের এক টেস্ট

    স্বপ্নভঙ্গের এক টেস্ট    

    ফলাফলটা একরকম নিশ্চিত হয়েই ছিল, ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ১৮০ ওভার কাটিয়ে দেয়াটা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। চতুর্থ দিনে দেখবার সবচেয়ে বড় বিষয়টা ছিল ম্যাচটাকে পঞ্চম দিনে টেনে নিয়ে যেতে পারে কিনা বাংলাদেশ, হল না সেটাও। চা বিরতির আগেই নয় উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ, শাহাদাত  না থাকায় এটাকেই গুটিয়ে গেল বলতে হচ্ছে। 

     

    সকালে ১ উইকেটে ৬৩ রান বোর্ডে নিয়ে যখন উইকেটে নামলেন মুমিনুল ও তামিম, মিরপুরে উপস্থিত দর্শকদের মনে অন্তত একদিনের ব্যাটিং দেখার বাসনা, ম্যাচের ফল সে যাই হোক। দিনের নবম ওভারে ইমরান খানের বলে তামিমের কট বিহাইন্ডে ধূসর ছোঁয়া লাগার শুরু সে স্বপ্নে। আউট করে তামিমের উদ্দেশ্যে যে বুনো চিৎকারটা দিলেন ইমরান, নিশ্চিতভাবেই ভালো লাগেনি তাঁদের।

     

     

    ওভার চারেকের মধ্যে ঐ ইমরানের বলেই মাহমুদুল্লাহও বিদায় নিলে কালচে বর্ণ ধারণ করে স্বপ্নটা। আর এরপর লাঞ্চের আগেই মুশফিক, সাকিবের প্যাভিলিয়নে প্রত্যাবর্তন যেন আঁধারের মোটা একটা চাদরে ঢেকে দিয়েছে তাঁদের স্বপ্নকে।

     

    লাঞ্চের পর ম্যাচটার প্রতি তেমন একটা আগ্রহ ছিল না কারোরই, ক্ষুদ্র একটা চাওয়া অবশ্য ছিল, প্রথম সেশনে ফিফটি তুলে নেওয়া মুমিনুলের ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি দেখার চাওয়া, হল না তাও। দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারেই ওয়াহাব রিয়াজের লেগ সাইড দিয়ে করা নির্বিষ এক শর্ট বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সৌম্য, বল তিনেকের মধ্যেই ইয়াসির শাহর বলে কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুমিনুল(৬৮)। এই ফিফটিটা নিয়ে টানা ১১ টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি পেলেন তিনি, তাঁর সামনে আছেন কেবল ডি ভিলিয়ার্স (১২ টেস্ট)।

     

     

    শুভাগত-শহীদের নবম উইকেটে(কার্যত শেষ উইকেট) ৪৪ রানের জুটিটা পাহাড়সমান পরাজয়ের ব্যবধানকে কতটুকু আর কমিয়েছে? একমাসব্যাপী সফরের প্রথম ও একমাত্র জয় নিয়ে কাল দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন পাকিস্তানী খেলোয়াড়েরা। ম্যাচ ও সিরিজ- দুটোরই সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার উঠেছে আজহার আলীর হাতে। ছবি-সৌজন্যঃএএফপি